সরদার সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) : সাতক্ষীরার শ্যামনগর পৌরসভার মধ্যে অপরিকল্পিতভাবে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ কাজ হচ্ছে। আকা—বাকা ড্রেন নির্মাণ না করে মুক্তিযোদ্ধা সড়কের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে সোজা ড্রেন নির্মানের দাবি করছে এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরবাসীর সার্বিক সুযোগ সুবিধা এবং পানি নিষ্কাশনে উপজেলা সড়ক অবকাঠমোর উন্নয়নে প্রায় ১ কোটি ০৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৪ টাকা বরাদ্দ এসেছে।
সে আলোকে উপজেলা পরিষদের গেট হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সড়কের উত্তর পাশ দিয়ে গোপালপুর কালভাট পযন্তর্ ৮৬০ মিটার লম্বা ড্রেন নির্মানের কাজটি শুরু হয়েছে। তবে ড্রেনের কাজটি আঁকা—বাঁকা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি প্রশস্ত করার জন্য সোজা ভাবে ড্রেন নির্মানের কাজ করার হোক।
ঠিকাদার আবুল বাসার বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছি। উপজেলা প্রকৌশল অফিসের সিডিউল ও ডিজাইন অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।
এ বিষয়ে এলজিইডি সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. মানিক হোসেন বলেন, এগুলো দেখভাল এর দায়িত্ব উপজেলার, স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে চায় উন্নয়ন কাজ সেভাবে হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, শ্যামনগর উপজেলা পৌরসভা ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের শেষ কাজ তাই উপজেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি শেষ করতে চাই। আমরা অপরিকল্পিত কাজ করছি না। রাস্তা প্রশস্ত হলে নবনির্মিত ড্রেন রাস্তার মাঝখানে পৌছালেও জনগন তার সুফল পাবে। পৌরবাসীর সমস্যা হয় এমন কাজ আমরা করছি না। মুক্তিযোদ্ধা সড়কের উত্তর পাশ দিয়ে সরকারি জায়গার উপরে অনেকগুলো পাকা দোকান,বসত বাড়ি আছে তা উচ্ছেদ করা আমার কাজ না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, শ্যামনগরের টেকসই উন্নয়ন কাজে আমি আন্তরিক আছি। তবে, ড্রেনের বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার সহযোগিতা চাইলে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ড্রেনটি যাতে সোজা হয় প্রয়োজনে দোকানপাট উচ্ছেদ করা
লাগলেও তা করা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আতাউল হক দোলন বলেন, পৌরসভায় বর্তমানে একেবারে অপরিকল্পিত ভাবে কাজ চলছে। নির্মামাধিন ড্রেন সাধারন জনগনের কোনো কাজে আসবেনা। প্রকৌশলী আনঅভিজ্ঞ একজন ব্যক্তি। তিনি নিজে সেটা স্বীকারও করেছেন। তিনি প্রতিটা কাজেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি নিজেও চাই পরিকল্পিতভাবে পৌর এলাকার চলমান কাজগুলো সুন্দরভাবে করা হোক।
সাতক্ষীরা—৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার বলেন, শ্যামনগরে ব্যপক উন্নয়ন হয়ছে। জলবদ্ধতা নিরশনের লক্ষ্যে ড্রেন নির্মান কাজটি চলমান। মুক্তিযোদ্ধা সড়কটি কনক্রিট ঢালায় দেয়া হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যহত থাকায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।