মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তরের উপ—সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম দাপ্তরিক নোটিশ ছাড়াই নিরুদ্দেশ রয়েছেন। প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে অফিসের সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই।
ফলে বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ৩ হাজার আমন ধান চাষী এই মুহূর্তে বালাই ব্যবস্থাপনার সংক্রান্ত পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ১১ হাজার বিঘা জমিতে ৫ হাজার মেট্রিক টন আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ভেস্তে যেতে পারে।
মহিবুল ইসলাম ২০২১ সালে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেকে মোরেলগঞ্জে যোগদান করেন। ওই সময় তাকে বহরবুনিয়া ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কিছুদিন পরেই তিনি কাঠালতলা গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখ ও পঞ্চকরণ গ্রামের দেলোয়ার শেখসহ কয়েকজন কৃষককে কৃষি যন্ত্রপাতি ও সার—কীটনাশকের ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পকেটে তোলেন।
সম্প্রতি ওই সকল কৃষক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই মহিবুল ইসলাম গা ঢাকা দেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানার জন্য উপ—সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহিবুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী বলেন, মহিবুল ইসলাম কয়েকজন কৃষকের নিকট থেকে অনৈতিকভাবে টাকা নিয়েছে। এসব বিষয়ে লিখিতভাবে নোটিশ করা হলে, নোটিশের জবাব না দিয়ে গত ৬ দিন ধরে সে নিখেঁাজ রয়েছে।
মোবাইল ফোনও বন্ধ। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট জানানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।