সমাজের কথা ডেস্ক : কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের জামিনের সুপারিশ করা হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর তেজগাঁও, গুলশান, উত্তরা ও মতিঝিল এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে গত দুইদিনে বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের ৭৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি ডিবি। এ গ্রেপ্তারের কথা জানাতেই আজ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, দুদিনে কিশোর গ্যাংয়ের ৭৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্বের কারণে সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। কিশোর গ্যাং সদস্যরা ছিনতাই, ইভটিজিং, হুমকি দেওয়া, স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের ভয় দেখানো ও বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা পরিস্থিত সৃষ্টি করে। এ কাজগুলো তারা দলবদ্ধ হয়ে করে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নানা নামে প্রভাব বিস্তার করে আসছে তারা।
তিনি বলেন, রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াং স্টার, বিগ বস, ডিস্কো বয়েজ, বন্ধুমহল, শীল বিষু গ্যাং, পারভেজ গ্রুপ, রুস্তম গ্রুপ, ইয়াং স্টার গ্রুপ, নাইনএমএম গ্রুপ, নাইন স্টার গ্রুপ, রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উজ্জ্বল গ্রুপের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো মাদক, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করে আসছে। তাদের কিছু বড় ভাইয়ের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। এমনকি তারা চুরি-ছিনতাই করে আসছে। এসব কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গত দুই বছরে ৩৪ জন কিশোর নিহত হয়েছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘একসময় মনে করতাম ভাসমান ও নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানরা কিশোর গ্যাং চক্রে জড়িত হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উচ্চ মধ্যবিত্ত, ধনীদের আলালের ঘরে দুলালরাও কিশোর গ্যাং চক্রে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের পোশাক, চুলের কাটিং চলাফেরা সবই ভীতিকর। এসব ধনীর সন্তানরা প্রথমে মাদকসেবন, পরে মাদক বিক্রিতেও জড়িয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া তারা এলাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক বড় ভাই আবার কখনো কাউন্সিলরদের নিয়ন্ত্রণে থেকে তারা হত্যার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে।’