বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি: যশোর ও মাগুরার দুটি উপজেলার মধ্যে চিত্রা নদীতে একটি ব্রিজের অভাবে হাজারো মানুষের বিড়ম্বনা হচ্ছে প্রতিদিন। যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার উত্তর প্রান্তের খানপুর গ্রামের সাথে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার হরিশপুরের মাঝে চিত্রা নদীর উপর এই ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। এটি না হওয়ায় সেতরু উভয় পাড়ের ২০টি গ্রামের মানুষকে প্রতিদিনই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে একটি বাঁশের সাঁকোই তাদের ভরসা।
স্থানীয়রা জানান, শালিখা উপজেলার দক্ষিণ সীমানার চিত্রা নদীর উত্তর পাড়ের হরিশপুর গ্রামের সাথে দক্ষিণ পাড়ে খানপুর শিববাড়ির ঘাট। এখান থেকে নদীর একটি শাখা বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা, বন্দবিলা, গাইদঘাট, সীমাখালী ও নারকেলবাড়িয়ার মধ্যে দিয়ে মাগুরার শালিখা উপজেলার পুলুমে কাজলা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ডান দিকের শাখাটি বাঘারপাড়া উপজেলার বিল জলেশ্বরের ভেতর দিয়ে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে জনপদগুলি বছরের পর বছর ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। নিজেদের উদ্যোগে দুই পাড়ের জনগণ একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে নিজেদের কাজ চালিয়ে নিচ্ছে। সেখানে একটি ব্রিজের দাবি বহু বছরের। অথচ, স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রান্তের পরও সেখানে সেতু নির্মাণ হয়নি।
ঘাটের পাড়েই খানপুর বাজার, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে কয়েক‘শ শিক্ষার্থী প্রতিদিন স্কুল—মাদ্রাসায় যাওয়া আসা করে থাকে। এখানকার বাসিন্দাদের এমন দুভোর্গ লাঘবে স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্যে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের কাছে বার বার আবেদন করেছেন। প্রতিবছর দু’পাড়ের মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে নিজেদের প্রয়োজনে বাঁশের সাঁকো সংস্কার করে থাকেন। চাঁদা তুলে বাঁশখুটি কেনে খানপুর বাজার কমিটি।
বাজার কমিটির সভাপতি অশোক বিশ্বাস জানান, সপ্তাহে দু’দিন শুক্র ও সোমবার হাট বসে। নদীর উত্তর পাড়ের শালিখা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে আসেন এ হাটে। এছাড়া কয়েকশ শিক্ষার্থী পারাপার হয় এ সাঁকো দিয়ে।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, সাপ্তাহিক হাট বাদেও প্রতিদিন বৈকালিন বাজার বসে। বাজার বাদেও দিনের বেলা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় শত শত লোকের আনাগোনা চলে এই বাজারে। এসমস্যা সমাধানের জন্যে তিনি সরকারের কাছে সেতু নিমার্ণের দাবি জানান।
যশোর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ—বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) জি এম রাইসুল ইসলাম জানান, দুই পারে যে অধিদপ্তরের রাস্তা থাকবে তারাই সেতু নিমার্ণ করবে। একারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছুই করার নেই।