নিজস্ব প্রতিবেদক : অসহায় নির্যাতিত নারীদের মানুষ হিসেবে বাঁচার শিক্ষা দেয়ার জন্য গড়েছিলেন ‘বাঁচতে শেখা’। সেই বাঁচতে শেখার স্বপ্নদ্রষ্টা আঞ্জেলা গমেজকে হিরন্ময় করে রাখতে সংস্থার চত্বরে নির্মাণ করা হলো দেওয়াল প্রতিকৃতি। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বাঁচতে শেখা প্রাঙ্গণে ড. আঞ্জেলা গমেজ’র দেওয়াল প্রতিকৃতির আবরণ উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
আয়োজকরা জানান, ম্যাগসেসাই পুরস্কারপ্রাপ্ত আঞ্জেলা গমেজ গ্রামের অসহায় নির্যাতিত নারীদের মাঝেই সব সময় তাঁর ঠিকানা খোঁজার চেষ্টা করেছেন। নারীর অধিকার আদায়ের জন্যে তিনি আজীবন কাজ করেছেন। ছাত্রী অবস্থায়ই তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে নারীদের দুঃখ কষ্ট জানার চেষ্টা করতেন।
এ সময়ই আঞ্জেলা গমেজ সিদ্ধাšত্ম নেন, নারী উন্নয়নে কাজ করবেন। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আজ তিনি তাঁর লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘বাঁচতে শেখা’ নামের একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান। যারা গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের সেবার যে ব্রত তিনি নিয়েছিলেন তা পালন করার জন্য ঘর বাঁধেননি আঞ্জেলা। ‘বাঁচতে শেখা’ই তাঁর পরিবার, এর সদস্যরাই তাঁর আপনজন। তার কর্মজীবনকে স্মরণীয় করে রাখতে বাঁচতে শেখার ভবনের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে ড. আঞ্জেলা গমেজের দেওয়াল প্রতিকৃতি।
দেওয়াল প্রতিকৃতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি যশোর সরকারি এমএম কলেজের অধ্যড়্গ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, পিবিআই পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা, মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর উপপ্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঁচতে শেখার সভাপতি উম্মে মাকসুদা মাসু।
দেওয়াল প্রতিকৃতির আবরণ উন্মোচনের পর বাঁচতে শেখার হল রম্নমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ড. আঞ্জেলা গমেজ নারী উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছেন। নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও কাজ করছেন তিনি।
এর ফলে দেশে গন্ডি পেরিয়ে আšত্মর্জাতিক পর্যায়েও বহু সম্মান দেশের জন্য বয়ে নিয়ে এসেছেন। এছাড়াও তিনি মাথা উচু করে বাঁচতে শিখিয়েছেন এই অঞ্চলের নারীদেরকে। ড. আঞ্জেলা গমেজ মশাল হাতে সমাজে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন।