ইয়াকুব আলী, চৌগাছা (যশোর): যশোরের চৌগাছায় আঙ্গুর চাষ করে সফল হতে চলেছেন রুহুল আমিন নামে এক কৃষক। তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। এবার ৪০ মণ ফলন পাওয়ার আশা তার। ফলন ও মিষ্টতা ভালো হলে আগামীতে পুরোপুরি বানিজ্যিক চাষে ঝুঁকবেন তিনি।
পৌর সভার বেলেমাঠ গ্রামের মঈনুদ্দিনের ছেলে কৃষক রুহুল আমিন দুই বছর আগে ইউটিউবে আঙ্গুর চাষ দেখে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করেন। এখন তার ক্ষেতে রোপণ করা গাছে গাছে থোকা থোকা আঙ্গুর ঝুলছে। তার আঙ্গুর ক্ষেত দেখতে অসংখ্য মানুষ আসছেন। এলাকার অনেকে এখন তার দেখাদেখি আঙ্গুর চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষক রুহুল আমিন জানালেন,তিনি চলতি মৌসুমে দশ কাটা জমি থেকে প্রায় ৪০ মণ আঙ্গুর বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন।
তিনি প্রথমে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলা থেকে ৩৬টি আঙ্গুর চারা ৫০০ টাকা পিস দরে ক্রয় করেন এবং নিকট এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ভারত হতে আরও দুইটি চারা কিনে ১০ কাটা জমিতে লাগান। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ৩৮টি গাছ থেকে এবছর তিনি ৪০ মণ আঙ্গুর বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায় আঙ্গুর ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক রুহুল আমিন। এ সময় তিনি জানান, এত অল্প জমিতে ধান, পাট, শাক-সবজি চাষে লাভ কম হয়ে থাকে। একটু লাভের আশায় এবং কৌতুহলী ভিন্ন কিছু চাষাবাদ করার ইচ্ছা পোষণ হতেই আজকের সাফল্য। তিনি বলেন, নিজের জায়গা জমি নেই, পরের জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। এর আগে প্রায় তিন বছর আগে আড়াই বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করে প্রথম ফলনে ১৪ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করেছি। ওই টাকায় কিছু জমি কিনেছি। এবছর আরও আড়াই বিঘা জমিতে ড্রাগনের চাষ করেছি।
রুহুল আমিন আরও জানান, তার ড্রাগন আছে ৫ বিঘা, কুল ১ বিঘা জমিতে আর সম্পূর্ণ নতুন চাষ হচ্ছে আঙ্গুরের চাষ হয়েছে ১০ কাটা জমিতে। আঙ্গুরের ফলন ও মিষ্টতা ভালো হলে আগামীতে পুরোপুরি বানিজ্যিক চাষে ঝুঁকবেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশাব্বির হোসাইন বলেন, চৌগাছা এলাকায় শখের বশে অনেকেই আঙ্গুর লাগান তবে সম্প্রতি সময়ে বেশ কয়েকজন কৃষক বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু করেছেন। কৃষি বিভাগ সর্বদা খোঁজ খবর রাখছে, কোনো সমস্যা হলে ওই কৃষককে তাৎক্ষণিক পরামর্শ গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে।