কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোর—৬ আসনের সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেছেন, বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে দেশকে সাম্প্রদায়িক, জঙ্গি রাষ্টে্র পরিণত করেছিল।
শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদকে কঠোর হস্তে দমন করে অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। যার কারণে আজ ধর্মের হানাহানি নেই। মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্মকর্ম করতে পারছে।
তিনি বলেন, সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা। এই দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। যদি কোনো অশুভ তৎপরতা পরিলক্ষিত হয় তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে, আমাদেরকে জানাবেন। আমরা দেশে কোনো উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেব না।
১৮ অক্টোবর বিকেলে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা ও পূজা মন্ডপে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে শহরের আবু শারাফ সাদেক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেশবপুর উপজেলার সভাপতি সাংবাদিক শ্যামল সরকার, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার সাহা।
উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মশিয়ার রহমান সাগর, কেশবপুর উপজেলা সহ সভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু, সহ সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম পিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজ, সহ দপ্তর সম্পাদক মনোজ তরফদার, কোষাধ্যক্ষ স্বপন কুমার মুখার্জী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এস এম বাবর আলী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মহিবুর রশিদ, বিদ্যানন্দকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, কেশবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলা, মঙ্গলকোট ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান, সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবু প্রমুখ।
প্রধান অতিথি এমপি শাহীন চাকলাদার আরো বলেন, শেখ হাসিনা ১৫ বছরের কাছাকাছি রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তিনি দারিদ্র দূর করে দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্টে্র পরিণত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যারা দেশের উন্নয়ন—অগ্রগতি চায় না তারা নানান ধরনের কথা বলে। শেখ হাসিনা এই ১৫ বছর মসৃণভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারেননি।
২০১২ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলো তখন শুরু হলো আন্দোলন। ২০০৭ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নামে হওয়া দুর্নীতির মামলা যখন চলছে সেই মামলা বাতিলের জন্য দাবি তুললেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সংঘাত করেছিল। ২০১৫ সালে অবরোধের নামে পেট্রোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছিল।
২০২০ সালে মহামারি করোনা ও এরপর রাশিয়া—ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো পৃথিবী বিপর্যস্ত ছিল। ১৫ বছরের শাসনকালের মধ্যে প্রায় ৮ বছরেই ছিল আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সমস্যায় জর্জরিত। অর্থনীতিতে বারবার আঘাত এসেছে। এরপরও অভূতপূর্ব জায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন। লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি মানবতার মা।