সমাজের কথা ডেস্ক : ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হতে এখনও বাকি কয়েক ঘণ্টা। আনুষ্ঠানিক ফলাফল পেতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই। এখন পর্যন্ত জনমত জরিপে ৬০০ আসনের মধ্যে লেবার পার্টি অন্তত ৪৩১ আসন পেতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি সবচেয়ে বড় নির্বাচনি বিপর্যয়ের মুখোমুখি।
এবার ভোট শুরুর আগে থেকেই লেবার পার্টি এককভাবে ক্ষমতায় আসছে, এটি স্পষ্ট ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছে। তাদের নজর এখন লেবার পার্টির মনোনয়নে বারবার নির্বাচিত তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রোশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক ও ড. রূপা হকের দিকে। মূল আগ্রহ হলো তাদের মধ্যে কেউ এবার মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন কিনা। ভারতীয় ও পাকিস্তানি কমিউনিটি ব্রিটেনে অনেক আগে মন্ত্রিত্ব পেলেও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপিদের কেউ এখনও ব্রিটেনের মন্ত্রী হননি। এবার নতুন করে লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়া রুফিয়া আশরাফ ও রুমি চৌধুরীসহ কমপক্ষে ছয়জন এমপি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশি কমিউনিটি থেকে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির বর্তমান চার এমপিদের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আপসানা বেগমের। যদিও ফিলিস্তিনের মানুষের পক্ষে সোচ্চার হওয়ায় লেবার পার্টির বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্বের ‘গুডবুকে’ নেই আপসানা। উল্টো নির্বাচনের পর লেবার পার্টির ভেতরেই কোণঠাসা করা হতে পারে তাকে এমন শঙ্কা অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের।
অপর তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপিদের মধ্যে রোশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক ও রূপা হকের মধ্যে অন্তত একজন এবার নতুন লেবার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন। এদের দুজন তিনবারের এমপি হলেও চারবারের এমপি রোশনারা আলীর নামই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে। তবে মন্ত্রিত্বের দৌড়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগের সম্পর্ক ও লবিং গুরুত্ব পাবে।
নতুন ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রিসভায় অন্তত একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অন্তত ঠাঁই পাবেন, এই প্রত্যাশ্যায় রয়েছে ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটি।
এবারের নির্বাচনে এবার রেকর্ড সংখ্যক ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সর্বাধিক আটজন বিরোধী দল লেবার পার্টির টিকিটে লড়ছেন।
২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ১১ জন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৩৪।
এই ৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে বেশিরভাগই প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। অনেকেই গাজা সংকটে লেবার পার্টির অবস্থানের বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন।