নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র উৎপল কুমার দে পারিবারিক নানা সংকটের মধ্যে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার একটি প্রতিষ্ঠানের নগদ ১৫ হাজার টাকার চেক পেয়ে তার অনেক উপকার হবে জানিয়ে বলেন, সমাজের বিত্তবানদের আমাদের মতো দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালে আর্থিক কারণে মেধাবীরা ঝড়ে পড়বেনা।
যশোরে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়। সেখানে বক্তব্য এসব কথা বলেন শিক্ষার্থী উৎপল কুমার দে।
যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এডুকেশনাল চ্যারিটেবল অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান অর্গানাইজেশন (ইকো) এর সহযাগিতায় এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আমান বাংলাদেশের বাস্তবায়নে ৬৬ শিক্ষার্থীকে ৮লাখ ৫৬ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। গত তিন বছর ধরে এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, প্রতিষ্ঠিত ও বিত্তবানদের সমাজের কাছে দায়বদ্ধতা রয়েছে। আজ যারা সহযোগিতা নিলেন, তারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে দারিদ্র, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন এটাই কামনা করি। আশা করব আপনারা অতীতকে ভুলে যাবেন না।
আমান’র প্রতিনিধি ও মনিটরিং অফিসার ড. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, আন্তর্জাতিক মালয়েশিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকারিয়া, যশোর মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. আলাউদ্দিন আল মামুন, ইকো’র যশোরের সমন্বয়ক আবদুল কাদের।
অনুষ্ঠানে শিক্ষাবৃত্তির চেক গ্রহণকালে যশোর নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষার্থী লোকনাথ রায় বলেন, বাবার সামান্য আয়ে পড়াশুনার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। তারপরও তো সংসার খরচ আছে। ইকো—আমান’র এই সহযোগিতা পেয়ে আমার অনেক উপকার হয়েছে। এই সহযোগিতা আমার পড়াশোনার পথ সুগম করবে।
কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম বলেন, ইকো—আমানের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে সহজ হচ্ছে। বই খাতাসহ শিক্ষার বিভিন্ন উপকরণ কিনতে পারছি এ অর্থের মাধ্যমে। আগে ক্লাসের খরচের জন্য বারবার বাবার কাছ টাকা চাইতে হতো। এই শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ায় বাড়ি থেকে টাকা চাইতে হয় না।’