মনিরুজ্জামান মনির : যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের পুর্বপাড়া থেকে লেবুতলা ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের আকবারের মোড় পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১৬ জুন। কিন্তু তিন বছর পর এলাকাবাসীর সংশয় রাস্তার নির্মাণ আদেও শেষ হবে কিনা! স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে রাস্তার ম্যাকাডামের (বড় খোয়া) কাজ ৩ বছর আগে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কার্পেটিংয়ের কাজ ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের এ সড়কের নির্মাণ ব্যয় ৩ কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার ৪’শ ৭৪ টাকা। ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম সোহাগ। ইটের খোয়া দেওয়ার পরে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করে ফেলে রেখেছেন ৩ বছর। দীর্ঘদিন এভাবে রা¯ত্মা পড়ে থাকায় বড়বড় খোয়া উঠে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় খানা-গর্ত তৈরি হয়েছে। খোয়া ভেঙে ধুলোয় পরিণত হওয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রাস্তার দুইধারের বাড়ি-ঘরের মানুষ এবং পথচারীদের।
ওসমান পুর গ্রামের সুজন সিকদার জানান, এ রাস্তার কাজ শুরম্ন হয়েছে ৩ বছর আগে। ইট পর্যন্তই মনে হচ্ছে শেষ হয়ে গেছে। রাস্তার ধুলোবালিতে এলাকা একাকার হয়ে যাচ্ছে। গাছের পাতার রং নির্বিঘ্নে চলাচল করা যাচ্ছে না। রা¯ত্মার দুই পাশ ভেঙ্গে যাওয়ায় অনেক জায়গায় গর্ত হয়ে গেছে।
কাশিমপুর উত্তর পাড়া গ্রামের আয়েব আলী জানান, ইটের ধুলো খেতে খেতে আমরা রোগা হয়ে গেছি। রাস্তা দিয়ে কোনভাবে চলা চল করা যাচ্ছে না। বাড়ি ঘর ধুলোয় ভরে যাচ্ছে। সামনে বর্ষা আসছে, আর কবে এ কাজ শেষ করবে। মনে হয় এ রাস্তা আর হবে না !
এ ব্যাপারে ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম সোহাগ জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এ রাস্তার কাজ শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অফিসিয়াল একটু জটিলতা ছিলো। বারোবাজারের পাশে একটি রাস্তার কাজ শেষ করে মার্চ মাসের শেষের দিকে এই রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করবো।
যশোর সদর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী নারগিছ আক্তার বলেন, ‘এ রা¯ত্মার মতো অনেক রা¯ত্মার কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম সোহাগ। যার কারণে ইতোমধ্যে কয়েকটি রা¯ত্মার কাজও বন্ধ করা হয়েছে। বিলম্ব করার কারণে এ রাস্তার কাজও বন্ধ করা হয়েছে কিনা আমার সঠিক ভাবে জানা নেই।’