নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিমানবন্দরে ২৩ লাখ টাকাসহ আটক সেই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মুকুল হোসেনের নামে মামলা হয়েছে। ঘটনার ৬ মাস পর রোববার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরে এ মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ পরিচালক আল আমিন।
সাময়িক বরখাস্ত খন্দকার মুকুল হোসেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইলে বলে জানা গেছে। ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট টাকাসহ ঢাকায় বিমান বন্দরে আটক হন তিনি। এ ঘটনায় বেনাপোল কাস্টম হাউসসহ গোটা বন্দর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, খন্দকার মুকুল হোসেন ২০১০ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঢাকাতে ক্যাশিয়ার পদে চাকরিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের তিনি সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে উন্নীত হন। তিনি ২০২০ সালের নভেম্বরে বেনাপোল কাস্টম হাউজে যোগদান করেন।
ঢাকায় চাকরির সুবাদে বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। একই সাথে এই সুযোগে বেনাপোল কাস্টম হাউজে দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে থাকেন। এরপর ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট সকালে মুকুল হোসেন ঢাকার উদ্দেশে যশোর বিমানবন্দরে আসেন।
এসময় বন্দরের স্ক্যানিং মেশিনে তার বহনকৃত ব্যাগে বিপুল পরিমান টাকার উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে যশোর বিমানবন্দর সিকিউরিটি।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা বিমান বন্দরে মুকুলের ব্যাগ তল্লাশি করে ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে মুকুল ওই টাকার উৎস বলতে পারেনি। এই ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে দুদক যশোর কার্যালয়ের উপ পরিচালক আল আমিন জানান, মামলাটির তদন্ত তিনি নিজেই করবেন।