নিজস্ব প্রতিবেদক : মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের লক্ষ্যে ১৯ জানুয়ারি থেকে যশোরের সাগরদাঁড়িতে শুরু হবে ৯ দিনব্যাপী ‘মধু স্মরণ মেলা’। মেলা সমাপ্ত হবে ২৭ জানুয়ারি। প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কালেক্টরেটের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে ১৯ অক্টোবর দুপুরে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খালেদা খানম রেখা।
আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে— সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে মেলা আয়োজনের জন্য এবারও মেলা ইজারা দেয়া হবে না।
কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মেলার মাঠ ব্যবস্থাপনা করা হবে। যা মাঠ ব্যবস্থাপনা উপ—কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। মাঠ ব্যবস্থাপনা উপ—কমিটি স্থানীয় পর্যায়ে স্টল বরাদ্দের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারও খোলা মঞ্চে বিনা টিকিটে যাত্রা প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া মেলায় কোন পুতুল নাচ, ভ্যারাইটি শো প্রদর্শন, যেকোনো প্রকার জুয়া, লটারি, হাউজি করা হবে না।
তবে প্রতিবছরের মত এবছরও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সার্কাস, মৃত্যুকূপ, ম্যাজিক শো প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে মেলা পরিচালনার জন্য সভা থেকে বিভিন্ন উপ—কমিটি গঠিত হয়।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপপরিচালক রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারি অপু, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম উদ দ্দৌলা, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, প্রবীণ শিক্ষাবিদ ডক্টর মুস্তাফিজুর রহমান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখার সভাপতি হারুন অর রশীদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপংকর দাস রতন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেনসহ জেলা ও কেশবপুর উপজেলার সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।