সমাজের কথা ডেস্ক : ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী শুক্রবার এক বন্দুক যুদ্ধে কমপক্ষে ১০ জন মাওবাদী বিদ্রোহীকে গুলি করে হত্যা করেছে। পুলিশ জানিয়েছে , দীর্ঘদিন ধরে চলমান সশস্ত্র সংঘাতকে দমন করার প্রচেষ্টা আরো বাড়িয়ে নয়াদিল্লি ।
ভারতের রায়পুর থেকে এএফপি জানায়, নকশাল পরিচালিত আন্দোলনে কয়েক দশক ধরে চলা বিদ্রোহে ১০সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।মাওবাদী বিদ্রোহীদের দাবি, ভারতের প্রত্যন্ত এবং সম্পদ-সমৃদ্ধ কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকারের জন্য তারা লড়াই করছে।
বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ছত্তিশগড় রাজ্যের এক দুর্গম বনাঞ্চলে এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
রাজ্য পুলিশের মাওবাদী বিরোধী অভিযানের প্রধান বিবেকানন্দ সিনহা এএফপিকে জানান, ‘এখন পর্যন্ত ১০ জন মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
সিনহা বলেন, বিদ্রোহীদের কাছ থেকে বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ বছর বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ অথবা ‘সর্বাত্মক হামলার’ মুখোমুখি হওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এ বছর ছত্তিশগড়ে ২০০ জনেরও বেশি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।
ভারত মধ্য, দক্ষিণ ও পূর্ব রাজ্য জুড়ে বিস্তৃত বিদ্রোহী-অধ্যুষিত ‘রেড করিডোর’ জুড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কয়েক হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করেছে।
কয়েক বছর ধরে সরকারি বাহিনীর উপর বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলা চালিয়েছে। ২০২১ সালে বামপন্থী গেরিলাদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ২২ জন পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী নিহত হয়।
২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এক বোমা হামলায় পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে ১৬ জন কমান্ডোও নিহত হয়। ওই হামলার জন্য মাওবাদীদের দায়ী করা হয়।