নিজস্ব প্রতিবেদক : হঠাৎ করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে গেছে। গত ৩৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) ১৮৯ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩২ জন ভর্তি ও বাকিরা বহিঃবিভাগ থেকে।
এদিকে, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বারান্দা ও মেঝেতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীর সাথে হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। হাসপাতালে ওষুধ এবং স্যালাইনও সংকুলান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড আছে ৬টি। বেড এবং মেঝে মিলে ২০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে পারেন।
গত ৩৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) ৩২ জন রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ১৫৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
<< আরও পড়ুন >> অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ফজিলা বেগম এক নারী বলেন, আমার এক আত্মীয়কে ভর্তি করেছি। কিন্তু কোনও সিট নেই, ওষুধ নেই। ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। অনেক কষ্ট হচ্ছে।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ মৌসুমী ইসলাম বলেন, ডায়রিয়ার চিকিৎসায় মাসে যে ওষুধ লাগতো, এখন একদিনেই তা লাগছে। তাই ওষুধ ও স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ বলেন, হঠাৎ করে ঠান্ডা ও গরম পড়ার কারণে মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওষুধ ও স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। জনগণকে সচেতন করতে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।