মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরে ছাগলের দুধ বিক্রি হচ্ছে। গরুর দুধ যেখানে ৭০ টাকা কেজি। সেখানে ছাগলের দুধ বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ টাকা কেজি দরে। মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি বাজারের নুর হোসেন ছাগলের দুধ বিক্রেতা। তার নিজের ছাগল না থাকলেও হাটে বিক্রির জন্য আনা ছাগি দুয়ে তিনি দুধ সংগ্রহ করেন। সেই দুধ বিক্রি করে তিনি সংসারের সিংহভাগ খরচ মেটান।
মেহেরপুর জেলার বারাদিতে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ছাগলের হাট। সপ্তাহে দু‘দিন হাট বসে। ওই হাটে বিকোতে আনা ছাগি দুয়ে প্রতি হাটে ১২ থেকে ১৫ কেজি দুধ সংগ্রহ করেন। নিজেও খান ছাগলের দুধ।
নুর হোসেন জানান, গড়ে প্রতিমাসে তিনি দুইমণ দুধ সংগহ করেন। হাটে ছাগল বিক্রি করতে আনেন ব্যাপারিসহ ছাগল বিক্রেতারা। অনেকে ছাগিও নিয়ে আসেন। সেসব ছাগি থেকে তিনি দুধ সংগ্রহ করেন। ছাগলের দুধ মানুষের শরীরের অন্যান্য খাবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ হজমের কারণে গরুর দুধের পরিবর্তে ছাগলের দুধ বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছে বলে বিক্রেতা জানান। চিকিৎসকদের মতে, গরুর দুধের তুলনায় ছাগলের দুধে প্রতি কাপে প্রায় ১২ শতাংশ কম ল্যাকটোজ থাকে। যার কারণে এটি ল্যাকটোজ অ্যালার্জি এবং গ্যাস্ট্রিক রোগীরাও খেতে পারেন।
ছাগলের দুধ কেন উপকারি তার ব্যখ্যা দিয়েছেন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. জামির মোহা. হাসিবুস সাত্তার। তিনি জানিয়েছেন, ছাগলের শরীরে চর্বি থাকে না। ছাগল সর্বদা সক্রিয় থাকে, প্রচুর পরিমাণে পানি আর ঘাস খায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলো ছাগলের দুধেও রয়েছে। ছাগলের দুধে ফ্যাট থাকলেও এটি পান করলে মানুষের ফ্যাট অনেকটা কমে যায়। এটি মানুষকে সক্রিয় করে তোলে আর শক্তি বাড়ায়। শুষ্কতা আর দুর্বলতার জন্য ছাগলের দুধ ভালো।