নিজস্ব প্রতিবেদক : হত্যাচেষ্টার শিকার যশোর মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক জাকির হোসেন ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে উল্টো প্রতারণার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।
রোববার যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাচ্চু শেখের মেয়ে এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক শারিকা সাইরিন আশা এই মামলা করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।
বাদী মামলায় জানিয়েছেন, যশোর মেডিকেল কলেজে তারা দু’জন একই সাথে লেখাপড়া করার কারণে পরিচিত। স্কুল স্টুডেন্ট হেল্থ কার্ড তৈরীকরণ বিষয়ক একটি প্রকল্পে সার্ভে করার কাজ পান জাকির হোসেন। সহযোগী হিসেবে ওই কাজ করার জন্য বাদী শারিকা সাইরিন আশাকে প্রস্তাব দেয়া হয়। পাশাপাশি কাজটি করতে হলে জাকির হোসেনকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। পরবর্তীতে ওই কাজ সরকারিভাবেই শুরু হয়।
ফলে বাদী আশার কাছ থেকে নেয়া ২০ হাজার ও তিন মাসের পারিশ্রমিক বাবদ ৬০ হাজারসহ মোট ৮০ হাজার টাকা জাকির হোসেনের কাছে পাওনা রয়েছে। এরই মধ্যে জাকির হোসেনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদীকে বলেন যে, এই কাজ করলে লাভবান হওয়া যাবে। এরপর গত ৬ সেপ্টেম্বর যশোর কালেক্টরেট স্কুল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর এমএসটিপি স্কুলে হেল্থ কার্ড কার্যক্রম শুরু করা হয়।
ওই কাজে বাদী আশা ২৬ দিন ও ১৪ দিন কাজটি করেন। তবে ওই কাজে ৬ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও মাত্র দু’জনকে দিয়ে ওই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। ওই কাজে এক লাখ ৩৪ হাজার তিনশ’ টাকা উত্তোলন করে জাকির হোসেন নিজেই নিয়ে নেন। গত ২৭ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এলাকার জামালের চায়ের দোকানের সামনে দেখা করে পাওনা টাকা দাবি করা হলে জাকির হোসেন টাকা দিতে পারবেন না বলে হুমকি দিয়ে চলে যান।
উল্লেখ্য গত ৩১ জানুয়ারি রাতে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেলে মাদক সেবনে নিষেধ করায় কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক জাকির হোসেনকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। এই ঘটনায় থানা পুলিশ জাকির হোসেনের মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে জাকির হোসেনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ পরে মামলাটি গ্রহণ করে।