নিজস্ব প্রতিবেদক : রাত পোহালে যশোর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই সম্মেলন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা আনন্দ র্যালি ও প্রচার মিছিল করেছে। সোমবার যশোর গাড়িখানা রোডস্থ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ র্যালি ও প্রচার মিছিল বের হয়ে শহর প্রদিক্ষণ করে।
প্রচার মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও কেরামত আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির তুহিন, যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, সাবেক সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান বাবু, সাবেক সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফেজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল্লাহ খান লিখন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা, ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান হৃদয়, মাসুদ হাসান কৌশিক, মির্জা শাহারিয়ার তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলী হোসেন নয়ন, রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল মুনাফ দিলু, সবুজ, তুহিন, সুমন, রাসেল হোসেন পল্লব, জাহাঙ্গীর হোসেন, কামাল প্রমুখ।
যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগে নেত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করবেন এ প্রত্যাশা করছি। তবে আশাবাদী সাবেক ছাত্র নেতাদের নিয়ে এবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি গঠিত হবে। কারণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ হচ্ছে সাবেক ছাত্র নেতাদের পুনর্বাসনের জায়গা। আশা করছি, নতুনরা জায়গা পাবে। এছাড়া সামনে জাতীয় নির্বাচন। নেতৃত্বে এমন লোক আসা উচিত, যাদের নেতৃত্বে দল নির্বাচনে জয়ী হবে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির তুহিন বলেন, সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে সৎ, শিক্ষিত, সাবেক ছাত্রনেতা, ত্যাগী ও পরিশ্রমীদের মধ্যে থেকে আগামী সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হোক। তাহলেই সংগঠন আরও গতিশীল ও উজ্জীবিত হবে। তিনি আরও বলেন, আমি তৃণমূলের প্রার্থী। সংগঠনকে সাজাবো বলে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি। আওয়ামী লীগের জন্য রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বিরামহীন রাজপথে থেকেছি। আমার বিশ্বাস, দায়িত্ব পেলে যশোর স্বেচ্ছাসেবক লীগকে মডেল সংগঠন হিসেবে উপহার দিতে পারবো।
সর্বশেষ ২০০৬ সালে যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনের পর ২০০৮ সালে আসাদুজামান মিঠুকে সভাপতি ও নুরে আলম মিলনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নির্দেশে গত বছরের ২৮জুন ভেঙে দেওয়া হয় কমিটি। এরপরে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই সম্মেলন সফল করতে ভেঙে দেয়া কমিটির সভাপতি আসাদুজামান মিঠুকে আহ্বায়ক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নুরে আলম সিদ্দিকী মিলন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইমামুল কবীরকে যুগ্ম সম্পাদক করে সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।