নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ১২ জুলাই যশোর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘদিন পর হওয়া সম্মেলন ঘিরে শহর জুড়ে সাজ সাজ রব। ফেস্টুন, বিলবোর্ড, ব্যানার, ছেয়ে গেছে সম্মেলনস্থল যশোর ঈদগাহ ময়দানের আশপাশ। সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বইছে উৎসবের আমেজ। সম্মেলনের স্টেজ তৈরি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
সম্মেলন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে আসবে নতুন নেতৃত্ব। এবার তরুণরা নেতৃত্বে আসবেন, এমন প্রত্যাশা করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। যশোর ঈদগাহ ময়দানে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
দলীয় সূত্রে জানাযায়, সর্বশেষ ২০০৬ সালে যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে পর ২০০৮ সালে আসাদুজামান মিঠুকে সভাপতি ও নুরে আলম মিলনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন মেয়াদোত্তীর্ণের পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নির্দেশে গত বছরের ২৮জুন ভেঙে দেওয়া হয় কমিটি।
এর পরে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই সম্মেলন সফল করতে ভেঙে দেয়া কমিটির সভাপতি আসাদুজামান মিঠুকে আহ্বায়ক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নুরে আলম সিদ্দিকী মিলন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইমামুল কবীরকে যুগ্ম সম্পাদক করে সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ বলেন, যশোরের ১২ জুলাই সম্মেলন ঘিরে সাবেক ছাত্র নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। আশাবাদি সাবেক ছাত্র নেতাদের নিয়ে এবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি গঠিত হবে। কারণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ হচ্ছে সাবেক ছাত্র নেতাদের পুনর্বাসনের জায়গা। আশা করছি, নতুনরা জায়গা পাবে। এছাড়া সামনে জাতীয় নির্বাচন। নেতৃত্বে এমন লোক আসা উচিত, যাদের নেতৃত্বে দল নির্বাচনে জয়ী হবে।
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির তুহিন বলেন, আমি তৃণমূলের প্রার্থী। সংগঠনকে সাজাবো বলে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি। আওয়ামী লীগের জন্য রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বিরামহীন রাজপথে থেকেছি। আমার বিশ্বাস, দায়িত্ব পেলে যশোর স্বেচ্ছাসেবক লীগকে মডেল সংগঠন হিসেবে উপহার দিতে পারবো।
সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসাবেক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইমামুল কবীর বলেন, সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনস্থল ঈদগাহ ময়দানকে সাজানো কাজ চলছে। সম্মেলন ঘিরে শহরে সাজ সাজ রব ভাব। মঞ্চের কাজও এগিয়ে চলছে। তবে এবার মঞ্চের ব্যাকরাউন্ডে ডিজিটাল ব্যানার করা হচ্ছে।’