নিজস্ব প্রতিবেদক : নগদ এক লাখ ও আসবাবপত্রসহ তিন লাখ টাকার মালামাল দিয়েও সংসারটি ধরে রাখতে পারলেন না আছিয়া আক্তার। ১১ বছর আগে বিয়ে কিন্তু আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে আছিয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন তার স্বামী গার্মেন্টস কর্মকর্তা সাকিব মিয়া। এই ঘটনায় আছিয়া আক্তার যশোর আদালতে স্বামী, শাশুড়ি, দেবর ও ননদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বিচারক মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন। বাদী আছিয়া আক্তার সদর উপজেলার হাসিমপুর গ্রামের সোবহান মোল্যার মেয়ে।
আসামিরা হলেন, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাস্কা গ্রামের মজনু মিয়া জীবনের ছেলে সাকিব, সাকিবের মা লাইলী বেগম, ভাই হাবিল মিয়া ও বোন হামেলা বেগম।
বাদী আছিয়া আক্তার মামলায় বলেছেন, তিনি ঢাকার আশুলিয়ায় চাকরি করতেন। সাকিব ঢাকার আশুলিয়া এলাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে লাইন সুপারভাইজার পদে চাকরি করেন। সেখান থেকে পরিচয়ের পরে ১১ বছর আগে পারিবারিকভাবে সাকিবের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ এক লাখ টাকা ও আরো দুই লাখ টাকার আসবাবপত্র যৌতুক হিসেবে স্বামী সাকিবকে দেন আছিয়ার পিতা। দাম্পত্য জীবনে দুইটি ছেলের জনক জননী তারা। কিন্তু বছরখানেক আগে থেকে আরো দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য আছিয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিতে থাকেন সাকিব। শুধু তাই নয় আছিয়াকে নির্যাতনের পরে এক বছর আগে থেকেই তার পিতার বাড়িতে ফেলে রাখেন সাকিব।
স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ না দেয়ায় গত ২৫ মার্চ বিকেলে সাকিবসহ তার পরিবারের অন্যান্যদের ডেকে আনা হয় আছিয়ার পিতার বাড়ি। যথাসাধ্য আপ্যায়নের পরে যৌতুক ছাড়া আছিয়াকে নিয়ে সংসার করার জন্য সাকিবকে অনুরোধ করে তার পরিবার। কিন্তু কোন মতেই যৌতুক ছাড়া আছিয়াকে নিয়ে সংসার করতে রাজি না হয়ে ফিরে চলে যান সাকিব। ফলে আছিয়া এই ব্যাপারে যশোর আদালতে মামলা করেছেন।
আছিয়া আক্তার বলেছেন, তার স্বামী আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। কিন্তু গত এক বছর ধরে দুইটি সন্তানসহ আছিয়ার কোন খোঁজখবর নেন না সাকিব।