নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে লুট হওয়া স্বর্ণসহ আটক আসামিদের কাছ থেকে এবার অস্ত্র-গুলি ও মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার আটক পাঁচজনের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
আটককৃতরা হলো, যশোর শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের মৃত শামসুল আলম খানের ছেলে শাহরিয়ার আলম খান, বেজপাড়া উমেশচন্দ্র লেনের শম্ভূ দত্তের ছেলে বাবু দত্ত, পিয়ারী মোহন রোডের শেখ আব্দুস সামাদের
ছেলে সাইফুল ইসলাম নয়ন, নলডাঙ্গা রোডের মৃত নিমাই কুমার সরকারের ছেলে নিশিত কুমার ও শ্রীধর পুকুরপাড়ের মৃত কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দের কার্তিক চন্দ্র চন্দ। এরমধ্যে শাহরিয়ার আলম খান, বাবু দত্ত ও সাইফুল ইসলাম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে যশোর সদর উপজেলার সতীঘাটায় সাতড়্গীরার পাটকেলঘাটা বাজারে আরাধ্য জুয়েলার্সের ব্যবসায়ী গোপি দে’র কাছ থেকে ৭৪ ভরি স্বর্ণ লুট হয়।
এই ঘটনায় গোপি দে’র পিতা রঞ্জিত দে গত ২৫ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ডিবি পুলিশ অনুসন্ধান করে গত ২৮ জানুয়ারি যশোর শহরের বড় বাজারস্থ স্বর্ণ পট্টিতে অভিযান চালায়।
এসময় সেখান থেকে একে একে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় লুট করা ৫২ ভরি স্বর্ণ। শুধু তাই নয় আটক শাহরিয়ারের কাছ থেকে একটি ২২ বোরের রাইফেল, দুটি ম্যাগজিন, ৩০টি গুলির বক্স, দেড় রাউন্ড
গুলি, ২৮টি ২২ বোরের গুলির খোসা, একটি মোবাইল ফোন, একটি অস্ত্রের লাইসেন্স, একটি কীট বক্স ও একটি মাইক্রো বাসও জব্দ করা হয়।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, লুটপাট করা স্বর্ণ শাহরিয়ার আলম আটক বাবু দত্তের কাছে বিক্রি করে একইি মাইক্রো বাস ক্রয় করেন। পুলিশ সেই মাইক্রো বাসটিও উদ্ধার করেছে।
এছাড়া এই ঘটনার সাথে বাবু নামে পলাতক আরো একজন এর আগে বাঘারপাড়ায় ডাকাতিকালে প্রাইভেটকারে স্বর্ণের বার ফেলে পালিয়ে যায়। সেই মামলায় পরে তাকে ডিবি পুলিশ আটক করে। লুটপাট করা আরো ২৪ ভরি স্বর্ণ বাবুর কাছেই রয়েছে।
ফলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই নুর ইসলাম জানিয়েছেন, বাবুকেও আটকের জন্য নজরদারিতে রাখা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তাকে আটক করা হবে।
গতকাল রোববার আটক শাহরিয়ার আলম, বাবু দত্ত ও সাইফুল ইসলাম লুটপাট ও চোরাই স্বর্ণ ক্রয়ের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।