১৩ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
‘স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিশোধ নিতে শিমুলকে হত্যা করে বুলবুল’

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিমুলের প্রভাবে এলাকায় কোনঠাসা ছিল বুলবুল। শিমুল প্রভাব বিস্তার করতে করতে বুলবুলের স্ত্রী পর্যন্ত পৌছে যায়। উত্ত্যক্ত করতে থাকে স্ত্রীকে। স্ত্রী উত্যক্ত করার প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল বুলবুলের মধ্যে। ‘হয় মারো না হয় মরো’ এ চিন্তা থেকেই শিমুলকে হত্যা করে বুলবুল হোসেন। সাথে যোগ হয় নাঈম হোসেন।

মারা যাওয়ার তিনদিন আগে শিমুল টর্চ দিয়ে নাঈমের মাথায় আঘাত করে। এ রাগের প্রতিশোধ নিতে সে যোগ দেয় বুলবুলের সাথে। তবে নাইম জানতো না হত্যা করা হবে। সে জানতো ‘একটু সাইজ’ করে শিমুলের ক্ষমতা কমানো হবে। বুলবুলের আনা গাছি দা দুজনই নেয় এরপর শিমুলকে কোপাতে শুরু করে। বুলবুল ও নাঈম শিমুলের পায়ে কোপ দেয়ার পর সে পড়েগেলে বুলবুল তাকে বেশি করে কোপাতে থাকে। হাসপাতাল সূত্র মতে, নিহত শিমুলের শরীরে ২২টি কোপের চিহ্ন রয়েছে। পিআইবির জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা বলেছেন বুলবুল ও নাঈম। আদালতেও অনুরূপ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

গত ২১ মার্চ রাতে চুড়ামনকাটি গোবিলা গ্রামের খুন হওয়া শিমুল হোসেন (৪৯) এর হত্যাকারী একই গ্রামের বুলবুল হোসেন (৪৮) এবং নাঈম হোসেন (২৫)। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে খুন করে খুনিরা পালিয়ে যায় ঢাকায়। হত্যার ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে থেকে ওই ২ অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হয় যশোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)।

তাদের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক পিবিআই চুড়ামনকাটি মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে রক্তমাখা হাসুয়া। ওই রাতেই মাঠের ভিতর পানির মেশিনের গর্তের মধ্যে হত্যায় ব্যবহৃত হাসুয়া(দা) লুকিয়ে রেখে তারা দেঁৗড়ে সাতমাইল এলাকায় যায়। সেখান থেকে বাসে উঠে কালীগঞ্জ এলাকায় বুলবুলের শ্বশুরবাড়ি যায়।

তাদের দুজনের কাছে মাত্র ৩শ টাকা ছিল, তাই বুলবুলের শ্বশুরবাড়ি থেকে ১৫শ টাকা নেয় এবং মোটরসাইকেল ভাড়া করে ঝিনাইদহে যায়। হত্যার সময় ব্যবহৃত পোশাকও পাল্টানোর সময় পায়নি তারা। পরে রাতের গাড়িতে করে ঢাকার টিকেট কেটে বাসে ওঠে। এ সময় তারা মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।

পিবিআইয়ের তথ্য মতে, এ সময় তাদের দলটি হত্যাকারীদের ছবি বাস কাউন্টারগুলোতে দেখাতে থাকলে সেখানে জানতে পারে এমন দুইজন লোক বাসে করে ঢাকার আব্দুল্লাহপুরের টিকিট নিয়েছে। ঢাকায় বাস থেকে নামার সাথে সাথে পিবিআই তাদের ধরে ফেলে। শনিবার পিবিআইকে এবং ১৬৪ ধারায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানার আদালতে এমন তথ্য দিয়েছে বুলবুল ও নাঈম।

পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, হত্যার ঘটনা জানার পর থেকে পিবিআই হাল না ছেড়ে কাজ করা শুরু করে। ঝিনাইদহে যাওয়ার পর আসামিদের মোবাইল ফোন বন্ধ হলে কিছুটা বিলম্ব হয় অনুসন্ধানে। এ সময় হাল না ছেড়ে কাউন্টারগুলোতে ওই দুজনের ছবি দেখিয়ে খোঁজ করার চেষ্টা করা হয় এবং সূত্র পাওয়া যায়। ফলে আব্দুল্লাহপুর নামার সাথে সাথে ডিএমপি পুলিশের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। তারা দুজনই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আসামিদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

যশোর কোতয়ালী থানাধীন গোবিলা পূর্বপাড়া গ্রামের মোকলেছুর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি শিমুল হোসেন (৪৯) গত ২১মার্চ রাত অনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে আক্রান্ত হন। তাকে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আক্রমনকারিরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পিবিআইয়ের একটি টিম মাঠে নামে এবং শুক্রবার সকালে ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের সহায়তায় বুলবুল ও নাঈমকে আটক করে। পরে যশোরে আনার পর তাদের স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ব্যবহৃত দুটি গাছি দা বিল্লালের পানির পাম্পের ড্রামের ঢাকনার নিচ থেকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করার পর শনিবার যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমালী আদালতে সোপর্দ করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিমুলের প্রভাবে এলাকায় কোনঠাসা ছিল বুলবুল। শিমুল প্রভাব বিস্তার করতে করতে বুলবুলের স্ত্রী পর্যন্ত পৌছে যায়। উত্ত্যক্ত করতে থাকে স্ত্রীকে। স্ত্রী উত্যক্ত করার প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল বুলবুলের মধ্যে। ‘হয় মারো না হয় মরো’ এ চিন্তা থেকেই শিমুলকে হত্যা করে বুলবুল হোসেন। সাথে যোগ হয় নাঈম হোসেন।

মারা যাওয়ার তিনদিন আগে শিমুল টর্চ দিয়ে নাঈমের মাথায় আঘাত করে। এ রাগের প্রতিশোধ নিতে সে যোগ দেয় বুলবুলের সাথে। তবে নাইম জানতো না হত্যা করা হবে। সে জানতো ‘একটু সাইজ’ করে শিমুলের ক্ষমতা কমানো হবে। বুলবুলের আনা গাছি দা দুজনই নেয় এরপর শিমুলকে কোপাতে শুরু করে। বুলবুল ও নাঈম শিমুলের পায়ে কোপ দেয়ার পর সে পড়েগেলে বুলবুল তাকে বেশি করে কোপাতে থাকে। হাসপাতাল সূত্র মতে, নিহত শিমুলের শরীরে ২২টি কোপের চিহ্ন রয়েছে। পিআইবির জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা বলেছেন বুলবুল ও নাঈম। আদালতেও অনুরূপ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

গত ২১ মার্চ রাতে চুড়ামনকাটি গোবিলা গ্রামের খুন হওয়া শিমুল হোসেন (৪৯) এর হত্যাকারী একই গ্রামের বুলবুল হোসেন (৪৮) এবং নাঈম হোসেন (২৫)। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে খুন করে খুনিরা পালিয়ে যায় ঢাকায়। হত্যার ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে থেকে ওই ২ অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হয় যশোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)।

তাদের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক পিবিআই চুড়ামনকাটি মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে রক্তমাখা হাসুয়া। ওই রাতেই মাঠের ভিতর পানির মেশিনের গর্তের মধ্যে হত্যায় ব্যবহৃত হাসুয়া(দা) লুকিয়ে রেখে তারা দেঁৗড়ে সাতমাইল এলাকায় যায়। সেখান থেকে বাসে উঠে কালীগঞ্জ এলাকায় বুলবুলের শ্বশুরবাড়ি যায়।

তাদের দুজনের কাছে মাত্র ৩শ টাকা ছিল, তাই বুলবুলের শ্বশুরবাড়ি থেকে ১৫শ টাকা নেয় এবং মোটরসাইকেল ভাড়া করে ঝিনাইদহে যায়। হত্যার সময় ব্যবহৃত পোশাকও পাল্টানোর সময় পায়নি তারা। পরে রাতের গাড়িতে করে ঢাকার টিকেট কেটে বাসে ওঠে। এ সময় তারা মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।

পিবিআইয়ের তথ্য মতে, এ সময় তাদের দলটি হত্যাকারীদের ছবি বাস কাউন্টারগুলোতে দেখাতে থাকলে সেখানে জানতে পারে এমন দুইজন লোক বাসে করে ঢাকার আব্দুল্লাহপুরের টিকিট নিয়েছে। ঢাকায় বাস থেকে নামার সাথে সাথে পিবিআই তাদের ধরে ফেলে। শনিবার পিবিআইকে এবং ১৬৪ ধারায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানার আদালতে এমন তথ্য দিয়েছে বুলবুল ও নাঈম।

পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, হত্যার ঘটনা জানার পর থেকে পিবিআই হাল না ছেড়ে কাজ করা শুরু করে। ঝিনাইদহে যাওয়ার পর আসামিদের মোবাইল ফোন বন্ধ হলে কিছুটা বিলম্ব হয় অনুসন্ধানে। এ সময় হাল না ছেড়ে কাউন্টারগুলোতে ওই দুজনের ছবি দেখিয়ে খোঁজ করার চেষ্টা করা হয় এবং সূত্র পাওয়া যায়। ফলে আব্দুল্লাহপুর নামার সাথে সাথে ডিএমপি পুলিশের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। তারা দুজনই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আসামিদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

যশোর কোতয়ালী থানাধীন গোবিলা পূর্বপাড়া গ্রামের মোকলেছুর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি শিমুল হোসেন (৪৯) গত ২১মার্চ রাত অনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে আক্রান্ত হন। তাকে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আক্রমনকারিরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পিবিআইয়ের একটি টিম মাঠে নামে এবং শুক্রবার সকালে ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের সহায়তায় বুলবুল ও নাঈমকে আটক করে। পরে যশোরে আনার পর তাদের স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ব্যবহৃত দুটি গাছি দা বিল্লালের পানির পাম্পের ড্রামের ঢাকনার নিচ থেকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করার পর শনিবার যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমালী আদালতে সোপর্দ করা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram