নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে ডোবা থেকে উদ্ধার হওয়া অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক এস এম ময়মুর হোসেনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে অন্তত ২৭ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মেডিকেল টিম।
বুধবার যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার বাবুল কিশোর সরকারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যর একটি মেডিকেল টিম লাশের ময়না তদন্ত করেছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আবসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী ও ডাক্তার আব্দুর রশিদ।
এদিকে যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার বাবুল কিশোর সরকার দৈনিক সমাজের কথাকে জানান, এস এম ময়মুর হোসেনের মৃত্যু ২৭ দিন আগে হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, গরমে লাশ পচে গিয়ে শরীরের রস বেরিয়ে মৃতদেহ শক্ত হয়ে গেছে। মেডিকেলের ভাষায় এই প্রকৃতির লাশকে ‘মামি ফাইট’ বলা হয়। ফলে মৃতদেহে কোন আলামত পাওয়া যায়নি। এ কারণে হত্যার কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। এজন্য লাশের ভিসেরা ও ডিএনএ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেলে ৪টার দিকে যশোর—মাগুরা সড়কের বালিয়াডাঙ্গা পাঁচবাড়িয়া এলাকার একটি ডোবায় মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা ময়মুরের লাশের সন্ধান পায়। পরে পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে। পরবর্তীতে মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায়।
জানা যায়, মৃতদেহি অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক এস এম ময়মুর হোসেনের। তিনি মনিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা আমিনপুর গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিন সরদারের ছেলে। যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়না তদন্ত শেষে বুধবার দুপুরে স্ত্রী শিরিনা খাতুনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।