সমাজের কথা ডেস্ক : মধ্য প্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনে সৌদির যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে তিন বছর আগের দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল দেশটি।
গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। খবর রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আকাশ থেকে স্থলে হামলা চালানোর মতো কিছু গোলাবারুদ সৌদিতে বিক্রি-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। প্রচলিত অস্ত্র হস্তান্তর নীতির আলোকে ধাপে ধাপে এসব গোলাবারুদ সৌদির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সৌদি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার মার্কিন এই সিদ্ধান্তের খবর আগেই প্রকাশ করেছিল রয়টার্স। তখন পাঁচটি সূত্রের বরাতে ওই খবর প্রকাশ করেছিল বার্তা সংস্থাটি।
চলতি সপ্তাহে সৌদিতে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসকে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। একটি সূত্র জানায়, অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হতে পারে। শুক্রবার বিকেলেই বিক্রি-সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন আইন অনুসারে, বড় আন্তর্জাতিক অস্ত্র চুক্তিগুলি চূড়ান্ত হওয়ার আগে কংগ্রেসের সদস্যদের দ্বারা পর্যালোচনা করতে হয়।
২০১৫ সালে ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট প্রতিবেশী ইয়েমেন হামলা শুরু করে। সেই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করা হত। সৌদির সাথে হুতিদের যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়। এতে চাপে পড়ে মার্কিন প্রশাসন।
এই অবস্থায় ক্ষমতায় এসে ২০২১ সালে সৌদিতে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে কঠোর হন প্রেসিডেন্ট জো বাইেডন। এর মধ্যে ২০২২ সালের মার্চ থেকে সৌদি ও হুতিরা জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার পর থেকে সৌদি আরব ইয়েমেনে আর হামলা চালায়নি। অন্যদিকে সৌদিতেও হুতি হামলা অনেকাংশে কমে আসে।
এই পরিস্থিতিতে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর সৌদিতে অস্ত্র বিক্রি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। সেটার ধারাবাহিকতায় দেশটিতে আক্রমণাত্মক গোলাবারুদ বিক্রি শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র।