নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় ৮ বছর ও অস্ত্র মামলায় ১৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন আলাদা রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আাসমিরা হলেন বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে মোমিন চৌধুরী ও ভবেরবেড় গ্রামের শফি মোড়লের ছেলে মেহের আলী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোলের সাদিপুর বেলতলা এলাকয় অবস্থান নেয় বিজিবি। সন্ধ্যার পর এক ব্যক্তিকে সাইকেলে করে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে থামায় বিজিবি। এ সময় সাইকেল আরোহী মোমিন সাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে বিজিবি।
এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ৪৯ পিচ সোনার বার। যার দাম ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ ঘটনায় বেনাপোল ৪৯/সি কোম্পানি আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের হাওলাদার নায়েক নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় চোরচালান দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে সিআইডির পরিদর্শক জাকির হোসাইন আসামি মোমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি মোমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম তাকে ৮ সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া পৃথক আরেকটি মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি যশোরের ডিবি পুলিশ বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামে অভিযান চালিয়ে মেহের চৌধুরীকে আটক করে। এসময় তার স্বীকারোক্তিতে ঘর থেকে ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় ডিবির এসআই ইউনুস আলী বাদী হয়ে আটক মেহের আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ডিবির এসআই আবুল খায়ের মোল্লা আসামি মেহের আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এ মামলার রায়ে মেহের আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে অস্ত্র আইনের ১৯ এর এ ধারায় ১০ বছর ও ১৯ এর এফ ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আদেশে সাজা একই সাথে চলবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত দু’জন কারাগারে আটক আছে।