সমাজের কথা ডেস্ক : তিন ম্যাচ টি—টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশকে ডার্কওয়ার্থ—লুইস—স্টার্ন পদ্ধতিতে ১৮ রানে হারাল নিউজিল্যান্ড। ফলে সিরিজ ১—১ ব্যবধানে সময়তা থেকে শেষ হয়েছে। প্রথম টি—টোয়েন্টি বাংলাদেশ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশের দেওয়ার ১১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা কিউইদের ইনিংসে ১৪.৪ ওভারে বৃষ্টি নামে। এ সময় ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান করেছিল দলটি। ডিএলএস আইনে তাদের ৭৮ রান করলেই হতো। ফলে এগিয়ে থাকে নিউজিল্যান্ড।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ ১৯.২ ওভারে ১১০ রানে অলআউট হয়েছে।
১১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা নিউজিল্যান্ডকেও শুরু থেকে অস্বস্তিতে রাখে বাংলাদেশের বোলাররা। যেখানে ফিন অ্যালেন ছাড়া টপঅর্ডারের সবাই ব্যক্তিগত ১ রানে বিদায় নেন। দ্বিতীয় ওভারে টিম সেইফার্টকে স্টাম্পিংয়ে ফেরান মেহেদী হাসান। নিজের পরের ওভারে ড্যারেল মিচেলকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে মাঠ ছাড়া করান এই স্পিনার।
এরপর জোড়া আঘাত করেন শরিফুল ইসলাম। এই পেসার গ্লেন ফিলিপসের পর অ্যালেনকেও বোল্ড করেন। অ্যালেন ৩১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৮ রান করেন। মাঝে মার্ক চ্যাপম্যান রান আউট হয়ে বিদায় নেন। তবে জেমস নিশাম ২০ বলে ২৮ ও মিচেল স্যান্টনার ২০ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে মেহেদী ও শরিফুল ২টি করে উইকেট পান।
আজ রবিবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমে কিউই বোলারদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সফরকারীরা। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার (৪) ও রনি তালুকদার (১০) ব্যর্থ হন। সৌম্য টিম সাউদির বলে এলবি হন। আর রনি বেন সিয়ার্সের বলে এলবির শিকার হন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ আসে অধিনায়ক শান্তর ব্যাটে, তাও আবার মাত্র ১৭ রান। এই রানের পর অ্যাডাম মিলনের শিকার হন তিনি।
বাংলাদেশের ইনিংসে এরপর টানা আঘাত করেন স্বাগতিক স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। তিনি একে একে তুলে নেন তাওহীদ হৃদয় (১৬), আফিফ হোসেন (১৪), শামীম হোসেন (৯) ও মেহেদী হাসানকে (৪)। শেষ দিকে রিশাদ হোসেন ১০ রানে মিলনের বলে বোল্ড হলে আর কেউই ভালো করতে পারেনি।
মিচেল স্যান্টনার ৪টি উইকেট পান। দুটি করে উইকেট দখল করেন সাউদি, মিলনে ও সিয়ার্স।