সমাজের কথা ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ঠিক হবে না। আজ ৪ অক্টোবর নগরীর নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
‘অবাধ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। কর্মশালায় বক্তব্য দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ বিশিষ্টজনরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৬৪ জেলায় নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় অংশ নেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আপনারা প্রায় বলেন এজেন্টদের নাম তো দেবে না, কারণ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে ফেলবে। তাদের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মারধর করতে পারে, নানা কারণ থাকতে পারে। বক্তব্য শুনেছি যে সাধারণত ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত পোলিং এজেন্টদের নামটা খুবই গোপন রাখা হয়। যাতে তারা নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেন।’
সিইসি বলেন, ‘অনেক সময় দেখি ১০০ জনের জায়গায় ১৫০ জন পোলিং এজেন্টের নাম দেয়। পরে যদি আমরা দেখি ভোটের আগে ১৫০ জন গ্রেপ্তার হয়ে গেছেন। তখন আমাদের একটা নেগেটিভ ইমপ্রেশন নিতে হবে। কেন তারা এক মাস আগে অ্যারেস্ট হলেন না, কেন তারা দুই মাস আগে অ্যারেস্ট হলেন না। ভোটের আগের দিন সবাই উধাও হয়ে গেল কেন?’
<< আরও পড়ুন >> ইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে : সিইসি
তিনি বলেন, ‘আমরা সৎভাবে ভোট করতে চাচ্ছি। কোনো দলের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করিনি। সে জন্য একটা হতে একটা লিস্ট যদি আগে দেওয়া হয়। এর পরে থেকে যদি একে একে অ্যারেস্ট হতে থাকে। দেখা গেল ১০ জন বাকি আছে ১৪০ জনই অ্যারেস্ট হয়ে গেল। এটা মিন করে যে তাদের অ্যারেস্ট করা হয়েছে বিশেষ একটা উদ্দেশ্যে। তবে আমরা আশা করব এই ক্ষেত্র কখনই হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সরকারকে জানাব, যদি তাদের অ্যারেস্ট করতে হয় ছয় মাস আগেই সবাইকে অ্যারেস্ট করে ফেলেন। আর যদি না করেন তবে নির্বাচনের পরে অ্যারেস্ট করে ফেলেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ঠিক হবে না, এতে আমরা কলঙ্কিত হবো বলে মনে করি। পোলিং এজেন্ট না থাকলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।