২২শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সামান্য বৃষ্টিতেই শহরময় জলাবদ্ধতা
সামান্য বৃষ্টিতেই শহরময় জলাবদ্ধতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলা শহরের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। খাল ও কালভার্ট দখলসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর। আর পৌরসভা বলছে, নগরবাসীর অসচেতনতায় বন্ধ হচ্ছে ড্রেন। ফলে বর্ষায় জমছে পানি।

বৃহস্পতিবার সরজমিনে পৌরসভার একাধিক ওর্য়াডে দেখা যায়, ড্রেনগুলোতে পস্নাস্টিক বর্জ্য, ময়লা-আর্বজনা জমে থাকার কারণে বৃষ্টির পানি সহজে নামতে পারছে না। শাহ আবদুল করিম সড়কের খড়কি মোড় হয়ে পীরবাড়ি, কবরস্থান পর্যšত্ম রা¯ত্মায় বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ফলে লোকজনকে চলাচল করতে হচ্ছে ময়লা পানি দিয়ে। অন্যদিকে খড়কি দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিমপাড়া, হাজামপাড়া, খড়কি রেললাইন পাড়ায় পানি জমেছে। অন্যদিকে শহরের শংকপুর চোপদারপাড়া, টার্মিনাল, শংকরপুর ব¯িত্ম এবং উপশহর এলাকার নি¤্ন অঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

জানাযায়, শহরের গাজীর বাজার-চাঁচড়াগামী সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের মাধ্যমে পানি মুক্তেশ্বরী নদীতে যেত। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে খালটির বিভিন্ন জায়গায় মাটি ফেলে আড় বাঁধ দিয়ে চলাচলের অস্থায়ী রা¯ত্মা নির্মাণ করেছে স্থানীয়রা। ফলে মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে পানি নামতে পারছে না। এছাড়া খড়কি কলাবাগান ও পশ্চিমপাড়ার কালভার্ট দুটি ভরাট হয়ে গেছে। অন্যদিকে খড়কি পীরবাড়ি এলাকার কালভার্টের দুই পাশের মুখ বন্ধ থাকায় পানি সরতে দেরি হচ্ছে।

শাহ আবদুল করিম সড়কের খড়কি মোড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ব্যাগ ও জুতা হাতে করে এমএম কলেজে যেতে দেখা যায় শিড়্গার্থী আলিফ খন্দকারে। এসময় প্রতিবেদককে তিনি বলেন, খড়কি মোড়ে হাটু সমান পানি। তাই বাধ্য হয়ে ময়লা পানি দিয়ে কলেজ যেতে হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলে এ এলাকায় পানি জমে যায়।’ শংকপুর চোপদারপাড়া এলাকার লড়্গী দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পানি জমতে দেখছি। পৌরসভার লোকজন শুধু বলে আর পানি জমবে না। কিন্তু এর সমাধান হবে কবে।’

শংকরপুর টার্মিনাল এলাকার ফজলুল হক বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি জমে থাকায় চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। পৌরসভার পুরো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে পড়ায় পানি নামতে পারছে না। ফলে হাজার হাজার বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পৌরসভার উদাসীনতায় বাসিন্দাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, যশোর পৌরসভার ড্রেন নিয়মিত পরিস্কার করা হয়। শহরের একপাশ থেকে শুরম্ন করে অন্যপাশ থেকে শেষ করা হয়। এভাবে ধারাবাহিক ভাবে পৌরসভার ড্রেন পরিস্কার করা হয়। ড্রেনে যে ময়লা আবর্জনা জমে আছে, তা পৌরবাসীর সৃষ্ট সমস্যা।

যশোর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শরীফ হাসান বলেন, কালভার্ট দখল ও খালা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে শহরের পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হচ্ছে। শহরবাসীর অসচেতনতার কারণেও নালার পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram