সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু দণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আলরাজী।
সোমবার দুপুরে তিনি এ আদেশ দেন। তবে পলাতক থাকায় আসামী আশরাফুল ইসলামের অনুপস্থিতিতেই বিচার হয়।
আশরাফুল ইসলাম সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুভাষিনী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
মামলার এজাহার থেকে জানাযায়,সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে রিয়াদ হোসেন কদমতলা কিন্ডার গার্টেনের তৃতীয় শ্রেনিতে পড়ত। যুবক আশরাফুল ইসলাম জিয়াউর রহমানের বাড়িতে মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন। এক পর্যায়ে তিনি জিয়াউর রহমানের মেয়েকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন।
পারিবারিক ভাবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে আশরাফুল প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজতে থাকেন। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রিয়াদকে বেড়াতে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা ফুটবল মাঠে ফেলে যান আশরাফুল। পরের দিন সকালে বলাডাঙ্গা ফুটবল মাঠ থেকে রিয়াদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই রাতে
রিয়াদের পিতা জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে আশরাফুল ইসলামকে আসামী করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং—৩৪। তদন্ত শেষে সদর থানার এস আই হুমায়ুন কবির ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই আশরাফুল ইসলামকে আসামী করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন ও ১৭জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. রোকনুজ্জামান।
সাতক্ষীরা আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, শিশুকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় রাস্ট পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছে।