নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১২জুলাই যশোর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। শনিবার সন্ধ্যায় সম্মেলনস্থল যশোর ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করেছেন সাবেক ছাত্র নেতারা।
এদিকে, সম্মেলন ঘিরে ফেস্টুন, বিলবোর্ড, ব্যানার, ছেয়ে গেছে সম্মেলনস্থল। সম্মেলন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে আসবে নতুন নেতৃত্ব। এবার তরুণরা নেতৃত্বে আসবেন, এমনটি বলছেন তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এ জন্য আলোচনায় এগিয়ে তরুণ নেতারা।
যশোর ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করেছেন, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল, সদর উপজেলার সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির তুহিন, যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফেজ, যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা, মণিরামপুর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শিপন সরদার, ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান কৌশিক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেল হোসেন পল্লব, জাহাঙ্গীর হোসেন, কামাল, রবিউল ইসলাম, মির্জা শাহারিয়ার তুহিন প্রমুখ।
যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগে নেত্রী (শেখ হাসিনা) ত্যাগী নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করবেন এ প্রত্যাশা করছি। কারণ, দুর্দিনে মাঠে থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা তার পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করবেন এটা আমরা আশা করছি।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির তুহিন বলেন, সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে সৎ, শিক্ষিত, সাবেক ছাত্রনেতা, ত্যাগী ও পরিশ্রমীদের মধ্যে থেকে আগামী সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হোক। তাহলেই সংগঠন আরও গতিশীল ও উজ্জীবিত হবে। দীর্ঘদিন ধরে তৃনমূল পর্যায়ে কাজ করছি। এবারের সম্মেলনে মাধ্যমে নেত্রী দক্ষ, যোগ্য ও স্বচ্ছ ভাবমূতির নেতৃত্ব উপহার দেবেন বলে আমার বিশ্বাস।
যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল বলেন, অপেক্ষাকৃত বয়সে যারা তরুণ, দলের প্রতি যারা শ্রদ্ধাশীল, দীর্ঘদিন যারা দলীয় কার্যক্রমের সঙ্গে, সংগঠনের সঙ্গে, আদর্শে সঙ্গে কাজ করেছে, দুর্যোগে দুর্বিপাকে পরীক্ষিত, তারাই নেতৃত্বে আসবে বলে আশা করছি। হুমায়ন কবির তুহিন ও নিয়ামত উল্লাহ সুসময়ে এবং দুঃসময়ে কাজ করেছে, তাদের নিয়েই আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হবে ইন্নশাল্লাহ।
সর্বশেষ ২০০৬ সালে যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে পর ২০০৮ সালে আসাদুজামান মিঠুকে সভাপতি ও নুরে আলম মিলনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নির্দেশে গত বছরের ২৮জুন ভেঙে দেওয়া হয় কমিটি। এর পরে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই সম্মেলন সফল করতে ভেঙে দেয়া কমিটির সভাপতি আসাদুজামান মিঠুকে আহ্বায়ক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নুরে আলম সিদ্দিকী মিলন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইমামুল কবীরকে যুগ্ম সম্পাদক করে সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।