নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ১ জানুয়ারি দেশের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যশোরের সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনের প্রতিষ্ঠা স্মরণে ‘সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন দিবস’ উদযাপিত হবে। ১৩৩ বছর আগে ১৮৮৯ সালের কোন এক শুভক্ষণে প্রতিষ্ঠিত হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছর পূর্তি উৎসব পালন শেষে আজকের দিনটিকে ‘সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন দিবস’ বা সম্মিলনী ডে ঘোষনা করে ‘সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ’।
দিবসটি উপলক্ষে আজ পালিত হবে নানা কর্মসূচি। এর মধ্যে রয়েছে সকাল দশটায় বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আনন্দ শোভাযাত্রা। বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে এই শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ তরাপদ বিশ^াস এবং বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী (এসএসসি ১৯৫৪ ব্যাচ) ধূর্জ্জটি প্রসাদ দাস। অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। প্রাক্তন তিন কৃতি শিক্ষার্থী ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান (এসএসসি ১৯৬৪ ব্যাচ), অধ্যাপক ডা. আব্দুর রশিদ (এসএসসি ১৯৬৭ ব্যাচ) ও মেজর জেনারেল (অব.) আবু ইসহক ইব্রাহীম (এসএসসি ১৯৭০ ব্যাচ)সহ ২০২২ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত এবং বিদ্যালয়টির অন্য শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী ছাত্রদের সংবর্ধনা, স্মৃতিচারণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ইতোমধ্যে বিদ্যালয় ভবনে আলোকসজ্জাসহ গোটা চত্ত¡রকে সাজানো হয়েছে নানা রংয়ে। পক্ষকাল ধরে প্রাক্তন এবং প্রবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায়ও মুখরিত স্কুল অঙ্গন।
শহরের লোন অফিস পাড়ায় ১৮৮৯ সালে রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার প্রতিষ্ঠা করেন সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন। একই সময়ে বিদ্যালয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে।
৫২’র ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক ছাত্রই অংশ নিয়েছেন। শহীদ হয়েছেন অন্তত ১০ ছাত্র। প্রখ্যাত উপন্যাসিক নিমাই ভট্টাচার্য্য, ডা. সূর্য্য কুমার মজুমদার, ড. সৈয়দ আকরম হোসেনের মতো অসংখ্য গুণী এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র।
সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনের বর্তমান প্রধান শিক্ষক এবং একই প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ১৯৮৬ ব্যাচের মিহির কান্তি দাস জানান, ১৮৮৯ সালের এক শুভ ক্ষণে ক্ষণজন্মা পুরুষ রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদারের প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে এই বিদ্যাপীঠ। তখন থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠান অগণিত শিক্ষার্থীকে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করে চলছে। নিরন্তর জ্ঞানদায়িনী এই বিদ্যামন্দির শিক্ষার্থীদের কাছে মায়ের মতো আকর্ষনীয়।