নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল পথ পরিক্রমায় আমাদের সামনে প্রযুক্তি নির্ভর, সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশের হাতছানি রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তর হবে। ফলে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে। তবেই ২০৪১ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠা পাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’
<<আরও পড়তে পারেন>> গ্রাহকের পছন্দমত রঙ ও ডিজাইনে ফ্রিজ তৈরি করবে ওয়ালটন
জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিস যশোরের আয়োজনে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ও মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শাহীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক ডক্টর সুশান্ত কুমার তরফদার। সূচনা বক্তব্য দেন ও সঞ্চালনা জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম উদ দ্দৌলা, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, বিটিভি যশোর জেলা প্রতিনিধি ওহাবুজ্জামান ঝন্টু, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু, সাধারণ সম্পাদক এইচআর তুহিন, প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলন, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম, প্রণব দাস, ইন্দ্রজিৎ রায়, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস যশোরের উপপরিচালক মধুসূদন সরকার, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর যশোরের উপমহাপরিচালক আরিফুল ইসলাম, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণ, বন বিভাগ যশোরের সহকারী বন সংরক্ষক অমিতা মন্ডল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি এবং উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে পরিচিত করতে স্মার্ট বাংলাদেশ যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। যশোরকে স্মার্ট জেলা করতে হলে আগে স্মার্ট ভিলেজ গড়তে হবে। গ্রামের ঐতিহ্য যে ফসল বা পণ্য রয়েছে সেটা ব্যান্ডিং করতে উদ্যোগ নিতে হবে। যার মাধ্যমে পণ্যটি সারাদেশের মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বা জেলা গড়তে হলে সবার আগে স্মার্ট ভিলেজ সৃষ্টি করতে হবে। স্মার্ট জেলা করতে হলে যশোরে স্বাস্থ্য সেবাকে আরোও উন্নত করতে হবে। স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে ভোগান্তি ও সময়ক্ষেপন হয়। তাই অ্যাপস তৈরি করে চিকিৎসা সেবার সিরিয়াল দেওয়া থেকে চিকিৎসা সেবার আধুনিকায়ন করতে হবে।
যশোর জেলা প্রশাসনের বাতায়ন থাকলেও সেখানে তেমন একটা আপডেট থাকে না বলেও সভায় অভিযোগ করা হয়। স্মার্ট ভিলেজের অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য ব্যান্ডিং করার উদ্যোগ নিতে হবে।
কৃষকদের পণ্যেও দাম সঠিক ও কৃষি সেবা বৃদ্ধি করতে কৃষকদের স্মার্ট আইডির আওতায় আনতে হবে। যশোরের সবজিসহ যেসব পণ্য বেশি করে উৎপাদন হয় ; সেই পণ্যকে ভোক্তাদের মাঝে পৌঁছে দিতে বা বাজারজাত করণে ‘প্যাক হাউজ’ গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ প্রতিষ্ঠা ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট বাংলাদেশের রোড ম্যাপ ৪টি পিলার স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গর্ভন্যান্স তৈরি হবে। এছাড়া স্মার্ট ও সর্বত্র বিরাজমান সরকার গড়ে তুলতে জিডিটাল লিডারশিপ অ্যাকডেমি স্থাপন করা হবে। স্মার্ট সিটি, স্মার্ট ভিলেজ এর মাধ্যমে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশ।
বক্তবে বক্তারা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সুধীজন তাদের স্ব—স্ব দপ্তর থেকে কি ধরনের কাজ করতে পারবেন এমন মতামত প্রদান করেন।