বিশেষ প্রতিনিধি : দৈনিক সমাজের কথায় ‘জাতির জনকের ম্যুরালকে অসম্মান যশোর বোর্ডে’ শিরোনামে খবর প্রকাশের পর গাড়ির গ্যারেজ সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। গতকালই গ্যারেজের স্থান নির্বাচনে বোর্ডের একটি টিম ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন।
ভারপ্রাপ্ত সচিব ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ, উপপরিচালক ড. এসএম রফিকুর রহমান, সহকারী সচিব(প্রশাসন), সিবিএ সভাপতি-সম্পাদক ওই টিমে ছিলেন বলে বোর্ডের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। ওই টিমের সদস্যরা দফায় দফায় বোর্ড চেয়ারম্যানের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন। স্থান সিলেকশনসহ দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বৈঠক থেকে। পত্রিকায় খবর প্রকাশের বিষয়ে কার কার হাত থাকতে পারে তাদেরকে চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়েছে।
জাতির জনকের ম্যুরালকে অসম্মানের মত স্পর্শকারত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ বক্তব্য দিতে বা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সূত্রটি জানিয়েছে বোর্ডের বিভিন্ন প্রান্তে এ বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে, হচ্ছে। সমালোচকরা বলেছেন, ‘বাথরুমের দেওয়ালে ম্যুরাল নির্মাণ করে জাতির জনককে একবার অসম্মান করা হয়েছে। স্থানটিকে মোটরসাইকেল গ্যারেজে পরিণত করে অসম্মান করা হয়েছে আর একবার ।’
সূত্র জানায়, মূল ভবনের সামনে মোটরসাইকেল ও সাইকেল রাখার নিষেধাজ্ঞা জারি পর থেকেই ম্যুরাল প্রাঙ্গন গ্যারেজে রূপ নেয়। ‘গ্যারেজ নির্মাণের কাজ চলছে’ বলে বোর্ড চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দয়েছেন সেটিকে মিথ্যা বলেছেন সমালোচকরা।
সব মিলিয়ে গতকাল বোর্ডের বিভিন্ন টেবিলে ও চায়ের আড্ডায় আলোচনা-সমালোচনায় ছিল জাতির জনকের ম্যুরালের সম্মান। এ বিষয়ে কথা বলার জন্যে বোর্ড নির্ধারিত মোবাইল ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপে বোর্ড সচিব ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।