নিজস্ব প্রতিবেদক : শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহবুব রহমান ম্যানসেলকে যশোর শহর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের স্বাড়্গরিত এক প্রেস বিপ্ততিতে এই কথা জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু।
অপরদিকে গত ৫ মার্চ যশোর জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত ও এক কর্মচারীকে মারপিটের ঘটনার মামলায় আজ রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য রয়েছে। সন্ত্রাসী ম্যানসেল শহরের ষষ্ঠীতলার ফরহাদুর রহমান আলমাসের ছেলে। হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ দেড় ডজন মামলার আসামি ম্যানসেল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঐতিহ্যবাহী ও সুশৃঙ্খল দল। এই সংগঠনের ভাবমূর্তি বজায় রাখা সকলেই নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু যশোর পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মেহেবুব রহমান ম্যানসেল একটি সরকারি অফিসে অনধিকার প্রবেশ করে সরকারি কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান করেছে। এছাড়া সরকারি এক কর্মচারীকে মারপিট করে জখম এবং নারী কর্মকর্তার শস্নীলতাহানিসহ হুকুম প্রদানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
এতে সংগঠটির ভাবমূর্তি চরমভাবে ড়্গুণ্ণ হয়েছে। এমতাবস্থায় সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২২(ক) ধারা মোতাবেক যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস্ পরশের নির্দেশক্রমে মেহেবুব রহমান ম্যানসেলকে দলের সকল কর্মকা- থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
উলেস্নখ্য ম্যানসেলের নেতৃত্বে গত ৫ মার্চ দুপুরে শহরের রেলগেট মুজিব সড়কস্থ জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিণকে লাঞ্ছিত ও আল আমিন নামে এক কর্মচারীকে মারপিট করে হত্যার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় মুনা আফরিণ কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
পুলিশ ওই মামলায় ম্যানসেলসহ চারজনকে আটক করে। ওইদিনই বিচারক তাদের জামিন নামনজুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আনছারুল হক আদালতে আটক চারজনকে পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার ওই রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলো, শহরের ষষ্ঠীতলার সলেমান মীরের ছেলে রাকিব হাসান, রেল বাজার এলাকার আলী হোসেনের ছেলে অনিক হাসান মেহেদী এবং ষষ্ঠীতলা মুজিব সড়কের মীর শওকত আলীর ছেলে মীর সাদি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে ম্যানসেলের ডান পা গুলিবিদ্ধ হয়। এতে তার পা কেটে ফেলতে হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি ও বোমাবাজিসহ দেড় ডজন মামলা রয়েছে।