সমাজের কথা ডেস্ক : বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ে ও মা-ছেলেসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুইজন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১০ টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
বগুড়ার দুর্ঘটনাটি সাড়ে ১১ টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ দহপাড়ার দ্বিতীয় বাইপাস সড়কে ঘটে। কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্বাস আলী সাংবাদিকদের জানান, গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা বগুড়া শহর থেকে যাত্রী নিয়ে ধুনট উপজেলায় যাচ্ছিল।
সুজাবাদ দহপাড়া এলাকায় রাস্তার ডানে মোড় নেওয়ার সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে বাসের চাপায় অটোরিকশার চার যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এক শিশুকে আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়।
এখানে নিহতরা হলেন, অটোরিকশার যাত্রী ধুনটের বেড়েরবাড়ীর দিরাজতুল্লাহর ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী বাদশা (৫৫), গাবতলীর কদমতলীর বাসিন্দা অটোরিকশাচালক হযরত আলী (৩৫), গাবতলী উপজেলার কালাইহাটা এলাকার আব্দুল করিমের স্ত্রী সাহানা আকতার (৩০) ও তার মেয়ে কেয়ামনি (৮)। তবে নিহত আরেক ব্যক্তির পরিচয় জানাযায়নি। এদিকে দুর্ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন বাসে আগুন ধরিয়ে দিলে বাসটির পেছনের অংশ পুড়ে যায়।
অপরদিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পিকআপভ্যানের ধাক্কা মা-ছেলের করুণ মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল ১০টার দিকে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের উল্লাপাড়া উপজেলার চালা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এখানে প্রাণ হারান উল্লাপাড়ার চালা গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী করুনা বেগম ও তার শিশু পুত্র তরিকুল ইসলাম (৪)।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল কবির জানান, করুনা খাতুন কোথ কাথাও যাওয়ার উদ্দেশে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সিরাজগঞ্জ থেকে বাঘাবাড়িগামী একটি পিকআপভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান করুনা ও শিশু সন্তান।
এ সময় নিয়ন্ত্রণহীন পিকআপটি সামনে থাকা আরও একটি ভ্যানকে চাপা দিলে ঐ ভ্যানের চালক আব্দুল জলিল (৫০) গুরুতর জখম হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
পিকআপভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে পালিয়ে গেছে চালক ও তার সহকারী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।