এস হাসমী সাজু : শ্রেণিকক্ষ সংকটে দেড় হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদানে হিমসিম খাচ্ছে যশোর বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৫৫ বছর বয়সী এ বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রয়েছে মাত্র ১১টি কক্ষ। এরমধ্যে পুরাতন ভবনের দুটি শ্রেণি কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহামুদুর রহমান মনু জনান, যশোর-মাগুড়া সড়কের পূর্ব পাশে বাহাদুরপুর গ্রামের ১৯৬৭ সালে ৬৪ শতক জমির উপরে হাজী আব্দুল আলী বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্থপিত হয় বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শুরুতে বাংলা ভাঁটার ইট ও গোলপাতার ছাঁউনি দিয়ে ৫ কামরা বিশিষ্ট ঘরই ছিল বিদ্যালয়। এরপরে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে স্বল্প বেতনে ৭জন শিক্ষক রাখা হয়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, মৃত আব্দুর সামাদ, রবিউল ইসলাম বাবলু, জিন্নাত আলী, মৃত মফিজ মোল্ল্যা ও শ্রী শুধাংশ প্রমুখ। পরবর্তীতে হাজী আব্দুল আলী বিশ্বাস নিজে ও সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে ওই ৫ কামরা গোলপাতা পরিবর্তন করে ভবনের উপরে টিনের ছাউনি দিয়ে দেন। এভাবে বিদ্যালয় দিন দিন সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম চলতে থাকে। সাথে বাড়তে থাকে শিক্ষার্থী সংখ্যা। সরকারি ভাবে প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধিত হওয়ার পর আরো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পরে সরকারি অর্থে মাঠের দক্ষিণ পাশে ৩ কামরা একতালা ভবন নির্মাণ করা হয়। এর কিছু দিন পর বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ওই ভবনের উপর আরো ৩ কামরা সম্প্রসারণ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়টি দ্বিতীয় তালা ভবনে পরিণত হয়। এরও কয়েক বছর পরে বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পূর্ব কোণে নিজস্ব ও প্রমোটের অর্থায়নে তিন রুমের ভবন নির্মাণ হয়। পরবর্তীতে সরকারি ভাবে বিদ্যালয়ের একটি শহীদ মিনার নির্মাণ হয়।
বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক একেএম শরিফুল আনাম আজাদ বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে দেড় হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। শিক্ষার্থীদের বিষয় ভিত্তিক ক্লাস নিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় ঝুকি নিয়ে পুরাতন ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হয়। প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষায় ১০০% শিক্ষার্থী উওীর্ণ হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২৭ জন শিক্ষক ও কর্মচারী আছে।