সমাজের কথা ডেস্ক : বিশ্বকাপে শ্রীলংকার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও উড়ন্ত জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্ট ডি ককের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পর বোলারদের দাপটে অজিদের ১৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল প্রোটিয়ারা।
বৃহস্পতিবার লক্ষনৌতে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা দ. আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪০.৫ ওভারে মাত্র ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা।
৩১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরু থেকেই রাবাদা-জানসেনদের সামনে কাঁপতে থাকে। টপঅর্ডার থেকে শুরু করে বাকিদের কেউই হাল ধরতে পারেননি। মার্নাস লাবুশানে কিছুটা চেষ্টা করলেও ধীর গতির খেলা উপহার দিয়েছেন। তিনি দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ বলে ৪৬ রান করে কেশব মাহারাজের বলে আউট হন। এছাড়া মিচেল স্টার্ক ২৭ ও প্যাট কামিন্স ২২ রান করেন।
দ. আফ্রিকা বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান কাগিসো রাবাদা। দুটি করে উইকেট দখল করেন মার্কো জানসেন ও মাহারাজ।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামে প্রোটিয়ারা। যেখানে আগের ম্যাচে ৩ ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে লংকানদের বিপক্ষে বিশাল জয় পাওয়া দলটি এদিনও বড় লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে ব্যাট করে। উদ্বোধনী জুটিতে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার সঙ্গে ১৯.৪ ওভারে ১০৮ রান তোলেন ডি কক। তবে মন্থর ব্যাট করা বাভুমা ৫৫ বলে ৩৫ রানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে কাটা পড়েন।
এরপর গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম ভালো শুরু করেও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। অ্যাডাম জাম্পার বলে আউট হওয়া ডুসেন ২৬ রান করেন। যদিও মার্করাম ৪৪ বলে ঝড়ো ৫৬ রান করে কামিন্সের বলে আউট হন।
মাঝে অবশ্য দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক। মাত্র ৯০ বলে শতকের দেখা পান এই বাঁহাতি। শেষ পর্যন্ত ম্যাক্সওয়েলের বলে বোল্ড হওয়া এই তারকা ১০৬ বলে ৮টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১০৯ রানে মাঠ ছাড়েন। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি।
প্রোটিয়ারা আরও সংগ্রহের স্বপ্ন দেখলেও তাতে বাধ সাধেন অজি বোলাররা। হেনরিখ ক্লাসেন (২৯), ডেভিড মিলার (১৭) ও মার্কো জানসেনরা (২৬) ইনিংস বড় করার আগেই মাঠ ছাড়েন।
অজি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট পান মিচেল স্টার্ক ও ম্যাক্সওয়েল।
অন্যবদ্য সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন কুইন্টন ডি কক।