নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে জীবনে কতশতবার যে এসেছিলেন তার ইয়ত্তা নেই। মৃত্যুর আগেরদিনও অনেক সময়টা কাটিয়ে যান জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে। বলতে গেলে ক্রীড়া সংগঠক মোকছেদ শফির জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে এ স্টেডিয়ামে।
সর্বশেষ যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহি কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই স্টেডিয়ামে গতকাল শেষবারের মত এলেন তিনি। তবে জীবিত নয় মৃত। শনিবার ১২টার দিকে তার কফিনবাহী অ্যাম্বুলেন্স যখন স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয় তখন অনেকের চোখেই মুখেই ছিল বিষাদের ছায়া। জানাজার আগে ঘন্টাখানিকের জন্য তাকে আনা হয় স্টেডিয়ামে। এখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের সর্ব¯ত্মরের ব্যক্তিরা।
শ্রদ্ধা জানানোর আগে তার ছেলে সাজিদ হাসান পলাশ সবার কাছে বাবার দোয়া কামনা করেন।
বাদ জোহর পুরাতন কসবা ঘোষপাড়া জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে কারবালায় সমাহিত করা হয়। জানাজায় রাজনৈতিক, ক্রীড়া ও সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিরা অংশ নেন।
এর আগে স্টেডিয়ামে তার মরদেহ আনা হলে শ্রদ্ধা নিবেদন করে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, যশোর স্পোর্টস রির্পোটারবৃন্দ, জেলা ফুটবল রেফারি অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আম্পায়ার অ্যান্ড স্কোরার অ্যাসোসিয়েশন যশোর জেলা শাখা, যশোর জেলা খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি, সৌখিন ক্রীড়া চক্র, আরএন রোড ক্রীড়া চক্র, সোনালী অতীত ক্লাব, ফাইভ স্টার, যশোর বয়েজ ও লাভস ক্রিকেটার্সের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির কবু, যশোর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপকংর দাস রতন প্রমুখ।
শুক্রবার রাত আটটার দিকে নিজ বাসভবনে ইšেত্মকাল করেন যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি, সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা ও যশোরের ক্রীড়া সংগঠক মকছেদ শফি।