নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেছেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল দেশের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে তিনি জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে দেশের সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। খালেদা জিয়ার তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন। এ ধারা বজায় থাকলে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।
বুধবার বিকালে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি শাহীন চাকলাদার এমপি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকা-ের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নষ্ট করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী। দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত হয়ে তারই কন্যা শেখ হাসিনা এই বাংলায় ফিরে আসেন।
প্রধান অতিথি আরও ব্বালেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। তারপর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দীর্ঘ ১৫ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে দেশ গঠনে এগিয়ে যান তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশকে উল্টোপথে নিয়ে যাওয়া শুরু করে। তারা ভেবেছিল এই দেশে বঙ্গবন্ধুর কথা আর কেউ বলতে পারবে না। তার হাতে গড়া রাজনৈতিক দল ও আদর্শের পতাকা কেউ তুলে ধরবে না। ১৯৮১ সালের এইদিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে এসে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে তিল তিল করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে গড়ে তুলেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ঘিরেই বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন। এদেশের মানুষের স্বপ্নপূরণে নিরলসভাবে কাজ করে চলছে শেখ হাসিনা সরকার।
জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের সঞ্চলনায় এসময় বক্তব্য রাখেন আইন বিষয়ক সম্পাদক গাজী আব্দুল কাদের, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু, সদস্য অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, যশোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল, সাবেক সহসভাপতি এস এম নিয়ামত উল্লাহ, সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা গোলাম মোস্তফা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সেলিম রানা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ কচি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. এম এ বাসার, শ্রম সম্পাদক কাজী আবদুস সবুর হেলাল, সদস্য সামির ইসলাম পিয়াস ও মোস্তফা আশিষ দেবু, শহর আ’লীগের সভাপতি অ্যাড. আসাুদজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু প্রমুখ।
এর আগে ঐতিহাসিক ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগের ব্যানারে তিনটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন নেতাকর্মীরা। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর নেতৃত্বে শহরের বকুলতলাস্থ বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে থেকে শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়। এছাড়া শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন যশোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ।