সমাজের কথা ডেস্ক : শীতকাল এলেই যেন খাবারের প্রতি ভালোবাসা একটু বেড়ে যায়। এমনিতেই এই সময় পিকনিক, বিয়েবাড়ি, পার্টি লেগেই থাকে। তাছাড়া এমনি সময়েও মনটা কেবলই খাই খাই করে। ঘন ঘন খিদে পায়। পেট ভরে খাবার খাওয়ার পরেও সাধ মেটেনা। বিশেষ করে টুকটাক খাবার খাওয়ার জন্য মন বড্ড উচাটন হয়।
এসময়ে খিদে বেড়ে যায় বলেই ওজনও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পেটের অসুখ থেকে শুরু করে হাজারো শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু শীতে কেন ঘন ঘন খিদে পায়, তা কি জানেন?
ঠাণ্ডার সময় আমাদের শরীর নিজেকে উষ্ণ রাখার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করে। এনার্জি বাড়াতে এবং শরীর উষ্ণ রাখতে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরির। ফলে ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার ইচ্ছা বাড়ে। শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখার জন্য ঘন ঘন খিদে পায়। এই সময় আমাদের খেয়ালই থাকে না যে আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলছি।
সুস্থ সবলভাবে বাঁচতে গেলে শরীরে জলের প্রয়োজন, একথা কারুরই অজানা নয়। চুল, ত্বক এবং শরীরের সব অঙ্গ—প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে জল খাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। কিন্তু শীতকালে এমনিতেই তেষ্টা কম পায়। ফলে জল খাওয়াও কমে যায়। ঘরে রুম হিটার চলা এবং সর্বক্ষণ গরম পোশাক পরে থাকার কারণে শরীর একেবারে জলশূন্য হয়ে পড়ে।
যা ডিহাইড্রেশনের দিকে নিয়ে যায়। যার ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপে বাধা পড়ে। তাছাড়া, শীতের সময় শরীরে জলের অভাব পূরণ করতেই বেশি খিদে পায় এবং অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি আমরা। তাই শীত—গ্রীষ্ম—বর্ষা, সারা বছরই জল খাওয়ার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।
শীতের সময় 'উইন্টার ব্লুজ' অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা। কমবেশি সকলেরই শীতকালীন অবসাদ হয়। কারণ সূর্যালোকের অভাব এবং ঠান্ডা আবহাওয়া। শীতকালে রোদ বেশিক্ষণ থাকে না, অধিকাংশ সময় মেঘলা থাকে চারপাশে। চিকিৎসার ভাষায় এই শীতকালীন অবসাদ বা উইন্টার ব্লুজকে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (ঝঅউ) বলা হয়। আর ঠিক এই কারণেই বারে বারে খিদে পায় এবং বেশি খাওয়া হয়ে যায়।
এসময়ে কী করা উচিত?
যদি অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাহলে আপনার জন্য কিছু টিপস দেওয়া হল এখানে।
স্যুপ এবং কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান। রোজের খাদ্যতালিকায় শীতকালীন শাকসবজি এবং ফল রাখার চেষ্টা করুন।
খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। একবারে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন না।
যদি আপনি শীতকালীন অবসাদে ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ব্যায়াম করুন প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট।