খাজুরা (যশোর) প্রতিনিধি : স্মার্টফোন আসক্তি শিক্ষার্থীদের সর্বনাশ ডেকে আনছে উল্লেখ করে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, মেয়েদেরকে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। অপরিচিত কাউকে বন্ধু বানানো যাবেনা। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের দরকার নেই। শিক্ষাজীবন হলো জীবন গঠনের শ্রেষ্ঠ সময়। সঠিকভাবে এই সময়টা কাজে লাগাতে না পারলে সারাজীবন পস্তাতে হবে।
বুধবার বাঘারপাড়া উপজেলার মির্জাপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজে নাহিদা আক্তার জাহেদী শিক্ষা বৃত্তি ও সেরা ছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, যিনি শিক্ষার্থীদের পড়তে উৎসাহিত করেন, তিনিই ভালো শিক্ষক। শুধু অভিভাবক সমাবেশে উপস্থিত হলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়না। মাঝে মাঝে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সন্তানের লেখাপাড়ার খোঁজখবর নিতে হবে। তাদেরকে বেশি বেশি সময় দিতে হবে
এদিন দুপুরে কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল কবির খান জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক ও রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিনিধি শামছুল বারী শিমুল। সহকারী অধ্যাপক আবু সাঈদ, একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন ও জাকিয়া সুলতানা তিশার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জাহেদী পরিবারের প্রতিনিধি আলী হায়দার টফি।
এ সময় কলেজ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমুল হুদা ও পরিতোষ কুমার ঘোষ, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হাফিজুর রহমান, নুরুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, যুবলীগ নেতা রুবেল রানা, সেকেন্দারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসার সুপার মাও. হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কলেজের ১২৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে নাহেদী আক্তার জাহেদী শিক্ষা বৃত্তি তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
প্রতি তিন মাস পরপর এই বৃত্তি প্রদান করা হয়। একই ধারায় এবারের নির্বাচিত কলেজের সেরা তিন ছাত্রী আসমা খাতুন, তুলি মালাকার ও জাকিয়া সুলতানা তিশার হাতে পুরস্কার তুলে দেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।