নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি-জামায়াত শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে দেশে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদের সেই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র শক্তহাতে মোকাবেলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার। দেশদ্রোহীদের মোকাবেলায় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে তারা এ মতবিনিময় সভা করছেন।
বুধবার বিকেলে শহরের বকচর, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের জামরম্নলতলা মোড় ও বাহাদুরপুর মেহগনি তলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় কালে নেতৃবৃন্দ বিএনপি জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের বিরম্নদ্ধে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার এবং শাšিত্ম শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
মতবিনিময়কালে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, নীল নকশার অংশ হিসেবে কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার আশপাশে ক্যাডারদের আ¯ত্মানা গড়ে তুলে বিএনপি-জামাত। সারাদেশের তৃণমূল নেতাদের ধীরে ধীরে ঢাকায় জমায়েত করে তারা। এরপরে সুযোগ বুঝে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা প্রমাণ করেছে তাদের মধ্যে কোন দেশপ্রেম নেই। তারা সন্ত্রাসী দল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দেবে আওয়ামী লীগ।
প্রধান বক্তা হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারি শিড়্গার্থীদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কিলিং মিশন স্টাইলে দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছে বিএনপি-জামায়াত। কিলিং মিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দেশকে অচল করে সরকারের বিরম্নদ্ধে সাধারণ মানুষকে উসকে দেয়া। টানা সাত দিন চলে ধ্বংসযজ্ঞ, যার প্রধান টার্গেট সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প এবং সরকারি স্থাপনা। খুন আর সরকারি সম্পদ ধ্বংসের পৈশাচিক উন্মাদনায় নামে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগ সরকারকে বিশ্বের কাছে খারাপ বানানো। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্রকে শক্তহাতে মোকাবেলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে আর কোনোদিন ক্ষমতায় দেখতে চাই না এদেশের সাধারণ মানুষ। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য জীবন দিয়ে হলেও আমরা তার পাশে আছি। যারা সহিংসতা করেছে তাদের কঠোর শা¯িত্ম দাবি জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, সদস্য আনোয়ার হোসেন মো¯ত্মাক, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউসুফ শাহিদ, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মিঠু, পৌর কাউন্সিলার আলমগীর কবির সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামত উলস্নাহ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সেয়দ মো. লিটন, জেলা পরিষদের সদস্য রেহেনা খাতুন, যুবলীগ নেতা কেরামত আলী, নেতা কাজী শাহিন, পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রনি, ছাত্র নেতা আজমীর জোয়ার, জাবেদ, মিকাইল, তন্ময়, জাকির হোসেন প্রমুখ।
বকচারে উপস্থিত ছিলেন, নেতা সুলতান মাহমুদ পরান, নেতা মহিউদ্দিন মোলস্না, আব্দুল খালেক, রফিক উদ্দিন, শেখ শামিম, খোকন, নেতা নাইম, কাজী অন্তু, সাদিউল আলিফ, জিসান, মিজানুর রহমান মিঠু প্রমুখ। নওয়াপাড়া ইউনিয়নের জামরম্নলতলা মোড়ে উপস্থিত ছিলেন, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর তুহিন, সদর আওয়ামী লীগ নেতা হযরত আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউলস্নাহ মোলস্না, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান জান, ইউপি সদস্য সাজেদুল হক রিপন প্রমুখ। বাহাদুরপুর মেহগনিতলায় উপস্থিত ছিলেন, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরম্নল ইসলাম, নেতা আক্তার, কামরম্নজ্জামান, ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার, যুবলীগ নেতা শাহিন, লিপি, মিজানুর রহমান, আয়ুব, রতন সরকার প্রমুখ।