নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোরে প্রথম শহিদ হয়েছিলো গৃহবধূ চারুবালা কর। একাত্তরের ৩ মার্চে মুক্তিকামী জনতার ওপর পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তিনি। চারুবালা করের ৫২তম মৃত্যুর্ষিকীতে শুক্রবার সকালে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহরের নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন করে যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, নীলগঞ্জ শ্মশান কমিটিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শহিদের সমাধিস্থলের অ¯িত্মত্ব না পাওয়ায় পাশের বটবৃক্ষের নিচে প্রতীকী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিত কুমার নাথ, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হারম্নন অর রশিদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস, যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন, চাঁদের হাট যশোরের সভাপতি ফারজী ফরাজি আহম্মেদ সাঈদ বুলবুল, তথ্য গবেষণা কমিটির সদস্য এস কে এ শামসুদ্দিন প্রমুখ। শুক্রবার বিকেলে শহরের পৌর পার্কে চারম্নবালা কর স্মরণে আলোচনা সভা করে তির্যক যশোর সভা।
অনুষ্ঠানে তির্যক যশোরের সভাপতি ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএলএফ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মনি, সমাজকর্মী আঞ্জেলা গমেজ, মুক্তিযোদ্ধা অশোক রায়, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আলী ইদ্রিস, আইডিই'র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোর এর সভাপতি সুকুমার দাস, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হা রুনর রশীদ, অধ্যক্ষ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী তপন কুমার ঘোষ, রোকেয়া পদক প্রাপ্ত সমাজকর্মী অর্চনা বিশ্বাস, বেসরকারী উন্নয়ন কর্মী বিথীকা সরকার, নীলগঞ্জ মহাশ্মশান এর সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতীম নাথ রতি, তির্যক যশোর এর সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাস রতন।
সভায় শহীদ চারম্নবালা করকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান এবং যশোরে তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি সড়কের নামকরণ এবং নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে স্মৃতি ফলক স্থাপনের দাবি জানানো হয়।