সমাজের কথা ডেস্ক : মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সামরিক হামলায় শিশু ও বৃদ্ধসহ ২৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৬ জন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত লোকদের একটি শিবির লক্ষ্য করে এই সামরিক হামলা চালানো হয়েছে।
গত সোমবার রাত ১২ টার দিকে চীনের সীমান্তবর্তী কাচিনের লাইজা শহরের কাছের ওই শিবিরে এই হামলা চালানো হয়।
কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির কর্নেল নাও বু বলেন, ‘আমরা শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিসহ ২৯টি মৃতদেহ পেয়েছি। ৫৬ জন আহত হয়েছেন।’
যে ক্যাম্পে হামলা হয়েছে সেটি কেআইএ সদর দপ্তর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। কেআইএ এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা অন্ধকারে মৃতদেহ উদ্ধার করছেন। পাশে বাঁশ ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষের স্তূপ দেখা গেছে।
এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) মানবাধিকার মন্ত্রী অং মিও মিন এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন।
কেআইএ’র কর্নেল নাও বু বলেন, ‘সশস্ত্র দলটি কী ধরনের হামলা শিবিরে আঘাত করেছে তা তদন্ত করছে।’
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে জান্তা সরকার। এরপরে মিয়ানমার সংকটে নিমজ্জিত হয়। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে বিমান হামলা, আর্টিলারি শেলিং এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগে রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।