সমাজের কথা ডেস্ক : গত ১৫ দিন একটানা চলছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের হামাসের মধ্যে যুদ্ধ। ইতোমধ্যে গাজায় সাড়ে ৪ হাজার স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এক শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি)।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা রকেট ও বোমা হামলা করে ইসরায়েলের বাহিনী। গাজা উপত্যকার নাগরিকরা আতঙ্কে ঘর ছাড়তে শুরু করেন।
এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎসহ খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ফিলিস্তিনেই মারা গেছেন সাড়ে ৪ হাজার মানুষ।
এর মধ্যে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও হামলার ঘটনা ঘটল। শনিবার পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরের হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েল, এতে একজন নিহত হওয়ার খবর মিলেছেনুর শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চালায়।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, ওই অভিযানে ১৩ ফিলিস্তিনি ও একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।
অবরুদ্ধ পশ্চিমতীরে ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। গত ৫০ বছরে সেখানে অসংখ্য অবৈধ বসতি তৈরি করেছে ইসরায়েল। এখন সেখানে ৭ লাখ ইহুতি বাস করে।
জাতিসংঘের সংস্থাটি জানায়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ২৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।