বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি : দালালের খপ্পরে পড়ে ভারত লিবিয়া ঘুরে পরিবারের কাছে ফেরা জাহাঙ্গীরের অবস্থা এখন সংকটাপন্ন।
নানাবিধ শারীরিক সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের ডায়রিয়া বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না। জাহাঙ্গীর যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা গ্রামের মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উন্নত জীবনের স্বপ্নে ২০১৭ সালে একই গ্রামের মানিক বিশ্বাসের প্রলোভনে দেশ ছাড়েন জাহাঙ্গীর। এরপর পাচার হন লিবিয়ায়। সেখানে প্রচ- শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি।
অসুস্থ শরীর নিয়ে গত বছরের নভেম্বর মাসে দেশে ফেরেন। তার নিখোঁজ ও দেশে ফেরার কাহিনী নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
দেশে ফিরে অর্থের অভাবে ভালো চিকিৎসকের কাছে যেতে না পেরে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হন জাহাঙ্গীর। কিন্তু সেই ওষুধের দামও তখন তাঁর বা পরিবারের কাছে ছিলো না। ধীরে ধীরে আরও অসুস্থ হতে থাকেন।
একপর্যায়ে অবস্থা খারাপের দিকে গেলে গত ২৬ জানুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করেন তাঁর মা। অর্থের অভাবে কোনো প্রকার আইনগত সহায়তাও পায়নি এ অসহায় পরিবার।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরের মা নবিরোন নেসা জানান, ‘ছেলে ফিরে আসার পর কোনো কিছুই খেতে পারতো না। যা খায় তাই বমি করে উঠিয়ে দেয়। উপায় না পেয়ে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে গেলে যে ওষুধ লেখে তার দাম প্রতি সপ্তাহে ৫’শত টাকা।
এভাবে একমাস খাওয়াতে হবে। আমি সে খরচ মেটাতে না পেরে আলস্নার উপর ছেড়ে দিয়েছি। বিছানা থেকে উঠতেও পারছেনা ছেলে। সম¯ত্ম শরীরে ব্যথা। তিনি আরো জানান, পরের বাসা বাড়ি কাজ করে চলে আমার সংসার তার পরে কিভাবে ছেলেকে চিকিৎসা করাবো।
বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাংবাদিকদের বলেন, জাহাঙ্গীরের আমাশয়সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা আছে। এ জন্য আরও কিছু শারীরিক পরীড়্গাসহ উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।