পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না কনে কিশোরী মিতুর। বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যাওয়ার পর বর পক্ষ বিয়ে ভেঙ্গে দিলে মিতু আত্মহত্যা করে। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের মুনকিয়া গ্রামে। এর আগে সোমবার তার বিয়ে ভেঙ্গে গেলে সামাজিকভাবে নানা কথা ওঠে। এ নিয়ে বিব্রত বোধ করে মিতু মন্ডল (১৯)। সে ওই গ্রামের ঠাকুর দাশ মন্ডলের মেয়ে।
মৃতের পরিবার জানায়, গত সোমবার বটিয়াঘাটা উপজেলার কায়ুমখালী গ্রামের কৃষ্ণ মন্ডলের ছেলে সুদীপ্ত মন্ডলের সাথে বিবাহ হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন থাকলে ও বর পক্ষ আসতে দেরি করায় বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যায়। এসময় পরের লগ্নে বিয়ের জন্যে অনুরোধ করলে ছেলে ও ছেলের বাবা বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে চলে যায়। এতে মিতু মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তাছাড়া বিয়ে ভেঙ্গে গেলে বিভিন্ন মহলে নানা কু—কথা ছড়ায়। অবশেষে শুক্রবার বিকেলে নিজ বসত ঘরের আড়ায় গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। পরে টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মিতুর মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে মৃতের পিতা ঠাকুর দাশ মন্ডল বাদী হয়ে বর সুদীপ্ত এবং বরের পিতা কৃষ্ণ মন্ডলকে আসামি করে শনিবার থানায় মামলা করেছেন বলে থানা পুলিশের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।