অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : রেল লাইনে দাঁড়িয়ে সুমাইয়া খাতুন ওরফে সাথি (২২) মোবাইল ফোনে তাঁর বাবাকে বলেছিলেন, আলিফকে (২) দেখে রেখো বাবা। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।' মেয়ের মরদেহের পাশে বসে কথাগুলো বলছিলেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা রেল কলোনির মহিরুল ইসলাম।
শনিবার দুপুরে যশোরের অভয়নগরে রাজঘাট জাফরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রেল লাইনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাথি অভয়নগরের বাঘুটিয়া গ্রামের রকি শেখের স্ত্রী। রেলওয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে বোরকা পরা এক নারী রেল লাইনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় খুলনাগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। দেহ থেকে তার মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
নিহতের বাবা মহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়ে সাথি ও নাতি আলিফ সকালে তাদের বাড়িতে আসে। এরপ্ভরয়নগরের রাজঘাট বাজারে যাওয়ার কথা বলে আলিফকে রেখে সে চলে যায়।
দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে সে ফোন করে আলিফকে দেখে রাখার কথা বলে। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জানতে পারি মেয়ের মরদেহ রাজঘাট এলাকায় রেল লাইনে পড়ে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সাথির সঙ্গে জামাই রকি প্রায় খারাপ আচরণ ও মারপিট করত। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জানান, রাজঘাট এলাকায় রেল লাইন থেকে বেতনা এক্সপ্রেস টেনে কাটা এক নারীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মপরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।