ক্রীড়া ডেস্ক : সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে যে রোমাঞ্চকর কিছু হতে যাচ্ছে সেটা গতকালই বোঝা গিয়েছিল। চতুর্থ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২১ রান। আর পাকিস্তানের ৭ উইকেট। কিন্তু লাঞ্চের আগে ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে পুরো ম্যাচটাই হেলে পড়ে পাকিস্তানের দিকে! ৯৯ রানে পড়ে যায় ৮ উইকেট! সেখান থেকে কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের অসাধারণ ব্যাটিং বীরত্বে অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক দল। ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর এই জয়ে প্রোটিয়ারা আবার নিশ্চিত করেছে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও।
লাঞ্চের আগে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পর নড়বড়ে পরিস্থিতি আর কঠিন চাপ সামাল দেন পেসার কাগিসো রাবাদা ও অলরাউন্ডার মার্কো ইয়ানসেন। ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে রোমাঞ্চকর জয় নিশ্চিত করেন তারা। অবশ্য ব্যাট হাতে রান তোলার মূল কাজটা করেছেন রাবাদা। ২৬ বলে ৫ চারে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইয়ানসেন ছিলেন সতর্ক। ২৪ বলে ৩ চারে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৬ রানে।
প্রোটিয়াদের ধসের পেছনে মূল অবদান ছিল তিন বছর অনুপস্থিতির পর খেলতে আসা পেসার মোহাম্মদ আব্বাসের। ১৯.৩ ওভারের ম্যারাথন স্পেলে ৫৪ রানে নেন ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট! যদিও সেই নৈপুণ্য ম্লান হয়ে পড়েছে রাবাদা-ইয়ানসেনের ব্যাটিং বীরত্বে। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় টানা নবম টেস্ট হেরেছে পাকিস্তান। যার শুরুটা সেই ২০০৭ সালে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৮ রানের মামুলি লক্ষ্যে দিনের শুরুটা একেবারে খারাপ ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। ৩ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা স্বাগতিক দল চতুর্থ উইকেট হারায় ৬২ রানে। প্রান্ত আগলে খেলতে থাকা এইডেন মারক্রাম ব্যক্তিগত ৩৭ রানে আব্বাসের বলে বোল্ড হলে ভাঙে প্রতিরোধ। তার পরও সমস্যা ছিল না। অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। প্রোটিয়া অধিনায়ককে ব্যক্তিগত ৪০ রানে ফিরিয়ে এই প্রতিরোধও ভাঙেন আব্বাস। তখন স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৯৬। তার পর নাসিম শাহ, আব্বাসের তোপেই দ্রুত সময়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং। স্বাগতিকদের স্কোর হয়ে যায় ৯৯ রানে ৮ উইকেট! সেখান থেকেই ব্যাটিং বীরত্বে ম্যাচ জয়ে অবদান রাখেন পেসার কাগিসো রাবাদা ও অলরাউন্ডার মার্কো ইয়ানসেন।
স্কোর: পাকিস্তান ২১১ (কামরান ৫৪; প্যাটারসন ৫/৬১, বশ ৪/৬৩) ও ২৩৭ (শাকিল ৮৪, বাবর ৫০; ইয়ানসেন ৬/৫২)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ২ উইকেটে জয়ী।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০১ (মারক্রাম ৮৯, বশ ৮১; শাহজাদ ৩/৭৫, নাসিম ৩/৯২, আমের ২/৩৬) ও ১৫০/৮ (বাভুমা ৪০, মারক্রাম ৩৭, রাবাদা ৩১*, ইয়ানসেন ১৬*)
ম্যাচসেরা: এইডেন মারক্রাম।