মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : টেন্ডার ছাড়াই ঝিনাইদহের মহেশপুরে রাস্তার দু’ধারের মেহগনি ও লম্বু গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়া নবীর যোগসাজসে সন্ধি সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জান্নাত খান পাকরাইল ও জিন্নাহনগর রাস্তার দু’ধারের একাধিক গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আরো অর্ধশত গাছ কাটার পায়তারা করছেন তারা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে ও পুণরায় গাছ লাগানোর কথা বলে কিছু দিন ধরে সন্ধি সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জান্নাত খান রাস্তার দু’ধারের প্রায় ৪০—৪৫ টি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। তিন দিন আগে গাছ কাটতে গেলে ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা বাধা দেওয়ায় ওই দিন তারা গাছ কাটতে না পারায় শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ও বিকালে আবারো তিনটি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সুযোগ পেলেই সন্ধি সমাজ কল্যাণ সংস্থার দোহাই দিয়ে রাস্তার দু’ধারের গাছ কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতা রয়েছে। শুধু পাকরাইল ও জিন্নানগর রাস্তার গাছ না, আশপাশের আরও কয়েকটি রাস্তার গাছও এভাবে কেটে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন তারা। গাছ কাটার বিষয়ে জানালে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।
কাজিরবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ানবী জানান, কিছু গাছ কাটার জন্য জান্নাতের কাছে অনুমোদন দেওয়া আছে। সেই গাছগুলোই তিনি কাটছেন। জান্নাতের কাছে কাগজ দেখলেই সব জানা যাবে।
সন্ধি সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জান্নাত খান বলেন, ২০০৭ সালে সন্ধি সমাজ কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে ৬ হাজার গাছ লাগিয়ে ছিলাম। সেই গাছগুলোর মধ্যে ১৫০টির মত গাছ বর্তমানে জীবিত রয়েছে। বন বিভাগ ও নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ১৫টির মত গাছ কেটেছি। বাকি গাছগুলো কাটার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে তিনি গাছ কাটার অনুমতির কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
বন বিভাগের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। গাছ কাটার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপ দাশ বলেন, নিয়ম না মেনে টেন্ডার ছাড়া গাছ কাটলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।