সমাজের কথা ডেস্ক : সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু নিয়ে কোনও ইস্যু নেই। বহির্বিশ্বের উদ্বেগ ও কোনও চাপ নেই। সবকিছু স্বাভাবিক আছে। রাষ্ট্র সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী।’
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে রাজশাহী সেনানিবাসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান। এ সময় উপস্থিত রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান, জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ, পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা। এর আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সেনানিবাসে পুলিশ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সেনাপ্রধান।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘সংখ্যালঘু যে ইস্যুটা আছে, আমরা ঘেঁটে দেখলাম যেভাবে বলা হচ্ছে একেবারেই ওরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ওরকম কিছু ঘটেনি। এটা অত্যন্ত ভালো দিক। এই যে একটা সুন্দর পরিবেশ সারা দেশে তৈরি হয়েছে, সেটা বজায় রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে কাজ করবো, দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবো। আমরা সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে যেতে চাই। এভাবে সবকিছু সুন্দরভাবে চললে দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের সেনা হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘অবশ্যই আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের প্রতি যদি কোনও অভিযোগ থাকে, মামলা হয়, তাহলে তারা শাস্তির আওতায় আসবেন। কিন্তু অবশ্যই আমরা চাইবো না, বিচারবহির্ভূত কোনও হামলা তাদের ওপরে হোক। তাদের জীবনের যে হুমকি আছে, সেটার জন্য আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। সে যেই দলেরই হোক।’
সেনাবাহিনী প্রধান আরও বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। পুলিশ স্বাভাবিক কাজকর্ম যখন শুরু করবে, তখন পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। আমি বলবো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণভাবেই আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে পুলিশ কিছুটা ট্রমার মধ্যে আছে। ট্রমাটা কাটিয়ে উঠলে তাদের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে পারবে। ইতোমধ্যে পুলিশ বিভিন্ন থানায় কাজ শুরু করেছে। আমরা পুলিশকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি। তারা সম্পূর্ণভাবে যখন কাজকর্ম শুরু করে দেবে, তখন পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন আমরা সেনানিবাসে ফেরত যাবো। সেই পর্যন্ত আমরা থাকবো এবং কাজ করে যাবো।’